বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য সৌদি আরব থেকে ৯৪ টন ত্রাণ এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ১০ মিনিটে ত্রাণবাহী উড়োজাহাজটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকার সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তারা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে এই ত্রাণ হস্তান্তর করেছেন। এ নিয়ে ছয়টি দেশ উড়োজাহাজে মোট ৩৭৫ টন ত্রাণ রোহিঙ্গাদের জন্য পাঠাল।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বোয়িং-৭৪৭ নামের একটি উড়োজাহাজে সৌদি সরকার ৯৪ টন ত্রাণ পাঠিয়েছে। এর মধ্যে ময়দা, ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর, চাল, তাঁবু ও কম্বল রয়েছে। আজ সকালে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা আমির ওমর সেলিমের কাছ থেকে এসব ত্রাণ গ্রহণ করেন। আগামীকাল শনিবার সৌদি সরকারের এই ত্রাণ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের কাছে পাঠানো হবে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সৌদি আরব এক উড়োজাহাজে ৯৪ টন ত্রাণ পাঠিয়েছে, যা রোহিঙ্গাদের জন্য এক চালানে সবচেয়ে বেশি ত্রাণ। এর আগে ভারত দুটি উড়োজাহাজে ১০৭ টন ত্রাণ পাঠিয়েছিল। হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘সৌদি আরবের পাঠানো ত্রাণ আমাদের জেলা প্রশাসক গ্রহণ করেছেন। এগুলো কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের জন্য পাঠানো হবে।’
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, রোহিঙ্গাদের জন্য মালয়েশিয়া প্রথমে উড়োজাহাজে ১৪ টন ত্রাণ পাঠিয়েছিল। এরপর ভারত দুই উড়োজাহাজে ১০৭ টন, মরক্কো এক উড়োজাহাজে ১৪ টন, ইন্দোনেশিয়া ৮ উড়োজাহাজে ৭৭ টন এবং ইরান দুই উড়োজাহাজে ৬৯ টন ত্রাণ পাঠিয়েছে। এর মধ্যে ভোগ্যপণ্য, তাঁবু, কম্বল, কাপড় ও ম্যাট্রেস রয়েছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. হাবিবুর রহমান জানান, ভারত সরকার মোট সাত হাজার টন ত্রাণ পাঠাচ্ছে। পানিপথে জাহাজে করে ভারতের বাকি ত্রাণ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া সরকারও পানিপথে জাহাজে চাল পাঠাচ্ছে। অন্য দেশগুলো পর্যায়ক্রমে উড়োজাহাজে ত্রাণ পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।