ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের প্রেমের সর্ম্পক নিয়ে ক্যাম্পাসে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন- সাইকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আকিব উল হক ও এডুকেশনাল এন্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের প্রভাষক উম্মে কাউসার লতা। এ নিয়ে আজ বিভাগের সিএনডির সভা ডাকা হয়েছে। শনিবার তাদের কলা ভবনের একটি কক্ষ থেকে আটক করেন আকিবের স্ত্রী তাহমিনা ঢালি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ ও বিভাগের চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় তাৎক্ষণিক ছাড়া পান তারা। সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন থেকে শিক্ষক আকিব এবং লতার মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক চলছিলো। সম্প্রতি বিভাগে এ নিয়ে কানাঘুষা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটিতে উভয়ই দেশের বাইরে ঘুরতে যেতেন। বিভাগের অফিসে একসঙ্গে সময় কাটাতেন। বিষয়টি জানাজানি হলে আকিবের সঙ্গে তার স্ত্রীর ঝগড়া শুরু হয়। আকিব ও ঢালির সংসারে একটি সন্তান রয়েছে। এরপর থেকে কলা ভবনে আকিবের কক্ষ-৩০৪৯ এ নজরদারি শুরু করেন আকিবের স্ত্রী। যার প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় আকিবের স্ত্রী খবর পেয়ে কলা ভবনের আকিবের অফিস কক্ষে হানা দেন। এসময় ওই শিক্ষিকার সঙ্গে স্বামীকে দেখতে পেয়ে তিনি চিৎকার শুরু করেন। কক্ষের দরজা আটকানো না থাকলেও দরজায় পর্দা টাঙ্গানো ছিলে। এছাড়া সন্ধ্যার পর কলা ভবনের ওই অংশে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আনাগোনা থাকে না। এক পর্যায়ে আকিব ও ঢালির মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে আকিবের স্ত্রী তাদের দুইজনকে আটক করে সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাসরীন ওয়াদুদকে খবর দেন। খবর পেয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান বিষয়টি প্রক্টর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে অবহিত করেন। পরে সেখানে প্রক্টরিয়াল টিমকে পাঠানো হলে উম্মে কাউসার লতা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আকিব ও তার স্ত্রীকে প্রক্টরের অফিসে নিয়ে আসা হয়। সেখানে দুই জনের মধ্যে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বিভাগের চেয়ারম্যানের বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানেও ঘটনার মীমাংসা করতে পারেন নি অধ্যাপক নাসরীন ওয়াদুদ। ফলে আজ বিভাগের জরুরী সিএনডি সভা ডাকেন তিনি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ বলেন, ওই শিক্ষক এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। তাই সন্দেহ করে এদিন খবর পেয়ে ওই শিক্ষকের বিভাগীয় কক্ষে হাজির হন। এসময় ওই শিক্ষকের স্ত্রী সন্দেহ থেকে এমনটি করেছেন। এটা তাদের ভুল বুঝাবুঝি। ওই সময় দরজা খোলা ছিল তবে পর্দা টানানো থাকায় ওই স্যারের স্ত্রী এমন করতে পারেন বলে ধারণা করে তিনি। তবে সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাসরীন ওয়াদুদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ আকিবকে বিষয়টি বুঝিয়েছি। সে যেন ওই শিক্ষিকা থেকে নিজেকে ফিরিয়ে নেয়। কারণ তার একটি বাচ্চা আছে। কিন্তু সে আমাদের কথা শুনেনি। আমরা আগামীকাল (আজ) বিভাগীয় সিএনডি কমিটির মিটিং ডেকেছি। সেখান থেকে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো।