অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে :
যৌতুকের জন্য এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতন করে ঘরে তালা দিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা গৃহবধূকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ ও পরিবারসূত্রে জানা গেছে, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা গ্রামের জগদীশ বাড়ৈর মেয়ে দীপ্তি বাড়ৈর সাথে একই উপজেলার নাগার গ্রামের কৃষ্ণকান্ত বাড়ৈর ছেলে কিরণ বাড়ৈর সাথে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের সময় তাদের সাধ্যমত পাত্রকে যৌতুক দেয়া হয়। মেয়ে ভালো থাকার জন্য বিয়ের পর বিভিন্ন সময় স্বামীর চাহিদামত টাকা দিতে দীপ্তির পরিবার। এরপরেও বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য দীপ্তিকে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। এ কারণে স্ত্রী দীপ্তিকে নিয়ে স্বামী কিরণ ঢাকায় থাকত।
ঢাকা বসে স্বামী কিরণ বাড়ৈ পুনরায় গত ১৫ জুলাই স্ত্রী দীপ্তি বাড়ৈকে পিতার বাড়ি থেকে একলক্ষ টাকা যৌতুক আনার জন্য বললে সে অপারগতা প্রকাশ করে। এরপরই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্দেশে তার উপর নেমে আসে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক শারীরিক নির্যাতন। নির্যাতন করে বাসার মধ্যে অজ্ঞান অবস্থায় রেখে তালা দিয়ে রাখা হয় বলে নির্যাতিতা দীপ্তি জানায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়। স্ত্রীকে নির্যাতনের পর থেকেই স্বামী কিরণ পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূ দীপ্তি বাড়ৈ বাদী হয়ে শনিবার রাতে আগৈলঝাড়া থানায় স্বামীসহ ৫জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অপূর্ব লাল সরকার
প্রতিনিধি,
আগৈলঝাড়া, বরিশাল।
মোবাইল- ০১৭১২-৬৪৯২৬৯, ০১৭১১-৯২৮৭১৫,
০১৯১২-৩৪৬৪৮৪, ০১৬২৬-৫৩০২৭৭।
ই-মেইল- হবংি.ধষংধৎশবৎ@মসধরষ.পড়স