লেনদেনে চাঙ্গা জ্বালানী খাত

অর্থ ও বাণিজ্য
fuel & power logo mmঢাকা : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের লেনদেন ছিল চাঙ্গা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার এ খাতের লেনদেন হয়েছে ১১৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা। যা আগের কার্যদিবস থেকে বেশি হয়েছে ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসই সূত্রে, বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের ১৭ কোম্পানির ১ কোটি ২৬ লাখ ৪৭ হাজার ৮০০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৩ হাজার ৯৯১ বার। আর এ সময়ে লেনদেন হয়েছে ১১৯ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার। যা আগের কার্যদিবস বুধবারে লেনদেন হয়েছিল ১১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার। মাত্র এক কার্যদিবস ব্যবধানে এ খাতে লেনদেন বেড়েছে ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এসময়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন অর্থাৎ ৪০ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে যমুনা অয়েল। এ সময়ে ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৩ হাজার ৩২ বার। আর শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৬ টাকা।
এরপর সবচেয়ে বেশি লেনদেন অর্থাৎ ১৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে বিইডিএল। এ সময়ে ৩৬ লাখ ৯৯ হাজার ৮০০ শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২ হাজার ২৪৯ বার।
এরই ধারাবাহিকতায় মেঘনা পেট্রোলিয়াম ১৩ কোটি ২৯ লাখ, ডেসকো ১০ কোটি ৮৭ লাখ, সিভিও পেট্রো ৬ কোটি ৪৮ লাখ, এমজিএল বিডি ৬ কোটি ৭৪ লাখ, তিতাস ৬ কোটি ১১ লাখ সার্মিত পাওয়ার ৫ কোটি ৩২ লাখ, পদ্মা অয়েল ৫ কোটি ২১ লাখ, জিবিবি পাওয়ার ৩ কোটি ৮৭ লাখ, এসপিপিসিএল ১ কোটি ৮০ লাখ, পাওয়ার গ্রিড ৪৩ লাখ, লিন্ডে বিডি ২৩ লাখ, এসপিসিএল ১৫ লাখ, বিডি ওয়েডিং ৯ লাখ ও ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ৩ লাখ টাকা।
এছাড়াও ঔষুধ ও রসায়ন ৬৮ কোটি ২৫ লাখ, আইটি ৩ কোটি ৬৮ লাখ, ইঞ্জিনিয়ারিং ৫১ কোটি ২৫ লাখ, বিবিধ ৩৬ কোটি ৪৪ লাখ, আর্থিক ৩৫ কোটি ৩৫ লাখ, বস্ত্র ৩২ কোটি ৮১ লাখ, যোগাযোগ ১৮ কোটি ৪ লাখ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক ১৫ কোটি ৭৭ লাখ, সিমেন্ট ১১ কোটি ৪৫ লাখ, সেবা ও আবাসন ৯ কোটি ৩৯ লাখ, অবকাশ ও ভ্রমন ৫ কোটি ১৫ লাখ, বীমায় ৪ কোটি ৯৮ লাখ, পেপার ৪ কোটি ৪১ লাখ, সিরামিক ৪ কোটি ২২ কোটি, চামড়া ২ কোটি ৫২ লাখ, জুট ১ কোটি ১১ লাখ ও কর্পোরেট বন্ড ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে লেনদেন বাড়ার কারণ হিসেবে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা শেয়ারনিউজ২৪কে জানান, এ খাতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিগত বছর থেকে এ খাতের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ খাতের ঘাটতি কমিয়ে আনা হচ্ছে। সামনে ঘাটতি আরো কমবে। হতে পারে এই কারণে এ খাতে কোম্পানিগুলোর কদর বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের কাছে। যার প্রভাবে লেনদেন ক্রমান্বয়ে বেড়েছে পূর্বের কার্যদিবস থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *