এম আরমান খান জয়,গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাইককান্দি ইউনিয়নের পুখুরিয়া গ্রামে অবৈধ মাদক ও অস্ত্র ব্যবহারে দৌরত্ব বেড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অবৈধ মাদক ও অস্ত্র ব্যবহারের নেপথ্যে রয়েছে হত্যা, অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি ও চোরাচালানী সহ একাধিক মামলার আসামী সন্ত্রাস বাহিনীর গড ফাদার ও মাদক সম্্রাট পুখুরিয়া গ্রামের সৈয়দ আলী খানের ছেলে কালু খান । স্থানীয় গ্রামবাসীর একাধিক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, এলাকায় সৈয়দ আলী খানের তিন ছেলে কালু খান, জিব্রাইল খান, আব্দুল্লাহ খান ও তাদের সহযোগী দের ছত্র-ছায়ায় স্কুল, কলেজ পড়–য়া ছাত্রদের সহ খেটে খাওয়া মেহনতী যুব সমাজের মাঝে মাদকের ভয়াল থাবা বসিয়েছে কালু খান । গ্রামের যুব সমাজ আজ মাদকের ভয়াল থাবায় ধংসের দিকে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে কালু খান তার সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে রাখে। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দৃশ্যমান প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। মাঝে মধ্যে আইন শৃংখলা বাহিনী কর্তৃক অভিযান পরিচালিত হলেও অজ্ঞাত কারনে অবৈধ সন্ত্রাস বাহিনী ও মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা-ছোয়ার বাহিরে থেকে যায়। স্থানীয় জন-প্রতিনিধিরা মাদক নির্মূলে কার্যকর ভুমিকা রাখেন না বলেও জানায় এলাকাবাসী। বর্তমান সরকার মাদক নির্মূলে যখন সোচ্চার ঠিক তখনই বিপরীত চিত্র গোপালগঞ্জ সদরের পুখুরিয়া গ্রামে। সম্প্রতি গোপালগঞ্জ সদর থানার মামলা সূত্রে যানা যায়, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারে একটি মামলা হয় কালু খান ও তার সহদরদের নামে। যাহার মামলা নং গোপা-জি,আর ৬/৪১৮ তারিখ ০৩/০৭/১৭ইং। এছারাও উক্ত সন্ত্রাস বাহিনীর লিডার ও মাদক সম্প্রাট কালু খান ও তার সহোদরদের বিরুদ্ধে হত্যা, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার, চাঁদাবাজী, চোরাচালানী সহ গোপালগঞ্জ জেলা আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। এই সন্ত্রাস বাহিনী ও মাদক স¤্রাটের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।
এম আরমান খান জয়,গোপালগঞ্জ
মোবাইল ঃ ০১৯৫২-৫১৮০৮২
তারিখ ঃ ১৫.০৭.২০১৭