চলচ্চিত্র শিল্পীদের সংগঠন শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ থেকে সরে দাঁড়ালেন গুণী অভিনেত্রী মৌসুমী। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ২০১৭-২০১৯ সালের জন্য এ পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে নির্বাচনের ফলাফলের পর মৌসুমী শপথ নেননি। ৩রা জুলাই সোমবার শিল্পী সমিতিকে চিঠি মারফত ‘ব্যক্তিগত’ কারণ দেখিয়ে এই পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন তিনি। সম্প্রতি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান জয়লাভ করেন। আর মৌসুমী ওমর সানি-অমিত হাসান প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হন। শিল্পী সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি এই অভিনেত্রীকে। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি বরাবর দেয়া নিজের স্বাক্ষরিত অব্যাহতি পত্রে মৌসুমী লেখেন, ‘আমি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০১৭-২০১৯ মেয়াদে কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচিত হই। ব্যক্তিগত নানাবিধ সমস্যা থাকার কারণে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। সে কারণে আমি উক্ত পদ থেকে পদত্যাগ করতে আগ্রহী’। উল্লেখ্য, গত ৫ই মে অনুষ্ঠিত এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে ২৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন মিশা সওদাগর। একই পদে লড়েছিলেন ওমর সানি। প্রথম গণনায় তিনি ভোট পান ১৫৩।
পরে আপিল বিভাগে আবেদনের পর পুণরায় ভোট গণনা শেষে দেখা যায়, ওমর সানির ভোট ১৫৩ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬২-তে। অপরদিকে ২৭৯ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জায়েদ খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী অমিত হাসান পান ১৪৫ ভোট। শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদে নারী প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পান চিত্রনায়িকা মৌসুমী। তিনি সর্বমোট ৩৪৯ ভোট পান। এবারের নির্বাচনে অংশ নেয় তিনটি প্যানেল। এগুলো হচ্ছে ওমর সানি-অমিত হাসান, মিশা সওদাগর-জায়েদ খান ও ড্যানি সিডাক-ইলিয়াস কোবরা প্যানেল। এদিকে জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী বর্তমানে মনতাজুর রহমান আকবরের ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ এবং একে সোহেল পরিচালিত ‘পবিত্র ভালোবাসা’ নামে দুটি ছবির কাজ করছেন।