আজ শনিবার ভোর পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত আটজন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন আলমগীর (২৭), দেলোয়ার (৩০), সাদ্দাম (২৫), মনির (২৮) ও জসীম (২৬)। তাঁদের মধ্যে আলমগীর গাজীপুরে অটোরিকশা চালাতেন। জসীম ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মচারী ছিলেন। বাকি তিনজন পোশাকশ্রমিক।
দুর্ঘটনায় আহত আটজন হলেন খাদিজা, আফরোজা, রহিমা, জামিলা, ময়না, মমিনুল, খলিল ও দুলাল। তাঁদের সবার বয়স ২২ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে খাদিজা আলমগীরের স্ত্রী। তিনি জানান, হতাহত সবার বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিমের ভাষ্য, সিমেন্টবোঝাই ট্রাকটি গাজীপুর থেকে রংপুরের দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকের ছাদে সিমেন্টের বস্তার ওপর বসে ঈদে ঘরে ফিরছিলেন স্বল্প আয়ের লোকগুলো। কলাবাগান এলাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ট্রাকটি রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। এতে ছাদে থাকা লোকজন পড়ে গিয়ে সিমেন্টের বস্তার নিচে চাপা পড়েন। ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন ১১ জন। মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে আরও পাঁচজন নিহত হন।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হতাহত ব্যক্তিরা বেশির ভাগই পোশাকশ্রমিক।
বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বে নিয়োজিত উপপরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান জানান, ১১ জনের লাশ সেখানে রয়েছে।
পীরগঞ্জ থানার ওসি জানান, পাঁচজনের লাশ মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে।
ট্রাকটির নম্বর রংপুর ট ১১-০৩২৮। সেটি সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।