সপ্তাহ দুয়েক আগে অন্তর্জাল দুনিয়ায় ট্রেলার ও গান প্রকাশের পর থেকে ‘নবাব’ ও ‘বস ২’ নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ দেখা দেয়। হঠাৎ চলচ্চিত্রের ১৪টি সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবারের ব্যানারে ছবি দুটির সেন্সর ছাড়পত্র বন্ধ করতে আন্দোলনে নামে। তাদের দাবি ছিল, ‘নবাব’ ও ‘বস ২’ সিনেমা দুটি যৌথ প্রযোজনার নিয়মনীতি না মেনেই বানানো হয়েছে।
এ কারণে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবারের ব্যানারে শিল্পী ও কলাকুশলীদের একটা অংশ এফডিসির সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি সেন্সর বোর্ডের সামনেও অবস্থান নেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবারের ব্যানারে আন্দোলনকারীদের হতাশ হতে হয়। সেন্সর বোর্ড থেকে জানানো হয়, শাকিব খানের ‘নবাব’ ও নুসরাত ফারিয়ার ‘বস ২’ সিনেমা দুটি ছাড়পত্র পেয়েছে। এতে সিনেমা দুটি ঈদে মুক্তির ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা রইল না।
‘
নবাব’ ও ‘বস ২’ চলচ্চিত্র দুটি বাংলাদেশের প্রযোজক জাজ মাল্টিমিডিয়া। এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আবদুল আজিজ বলেন, ‘সিনেমা দুটির ক্ষেত্রে যৌথ প্রযোজনার নিয়ম মেনেই আমরা কাজ করেছি। ট্রেলার ও গান প্রকাশের পর থেকেই সিনেমা দুটি নিয়ে দর্শকের যে আগ্রহ দেখেছি, তা আমাদের সাহস জুগিয়েছে। দেশের প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরাও সিনেমা দুটি প্রদর্শনের ব্যাপারে খুবই আগ্রহী। অনেকে তো আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রেখেছেন। শেষ পর্যন্ত সিনেমা দুটি দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে পারছি ভেবে আনন্দিত।’
বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া ও ভারতের জিৎস ফিল্মওয়ার্কস প্রাইভেট লিমিটেডের যৌথ প্রযোজনায় ‘বস ২’ সিনেমা যৌথভাবে নির্মাণ করেছেন কলকাতার বাবা যাদব ও বাংলাদেশের আবদুল আজিজ। বাংলাদেশের নুসরাত ফারিয়া ছাড়াও এই সিনেমার অন্য দুই অভিনয়শিল্পী হলেন ভারতের কলকাতার জিৎ ও শুভশ্রী।
অন্যদিকে শাকিব খানের ‘নবাব’ সিনেমার পরিচালক জয়দীপ মুখার্জি। এতে শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন শুভশ্রী। এই সিনেমার অন্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন অমিত হাসান, রজতাভ দত্ত, মেঘলা, সব্যসাচী চক্রবর্তী, খরাজ মুখার্জিসহ আরও অনেকে।
মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমরা কিন্তু যৌথ প্রযোজনার বিপক্ষে নই। সরকার যৌথ প্রযোজনার যে নিয়মনীতি দিয়েছে, তা মেনেই যেন সিনেমা বানানো হয়। সে কারণেই আমরা আন্দোলন করেছি। এত কিছুর পরও যখন সেন্সর বোর্ড কর্তৃপক্ষ সিনেমা দুটিকে সেন্সর ছাড়পত্র দিল, তাতে শুধু একটা কথাই বলব, নিয়মনীতির সুবিচার তাঁরা করলেন না!’