গতবার মাত্র ২৭৪ ভোটে জয় পাওয়া রূপা এবার জিতেছেন ১৩ হাজার ৮০৭ ভোটের ব্যবধানে।
২০১৫ সালে রূপা হক প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে হঠাৎ করে মধ্যবর্তী নির্বাচন ঘোষণা দেওয়ায় রূপা হককে দুই বছরের মাথায় আসনটি ধরে রাখার লড়াইয়ে নামতে হয়।
লন্ডনের মধ্যে এবার রুপার আসনটি এবার সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনে রুপা গতবার মাত্র ২৭৪ ভোটের ব্যবধানে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন। এ আসনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী জয় মোরিসের বিজয় ঠেকাতে এবার পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টি কোনো প্রার্থী দেয়নি। তারা লেবার প্রার্থী রুপাকেই সমর্থন দিয়েছে। অন্যদিকে ডানপন্থী ইউকে ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টি (ইউকিপ) কনজারভেটিভ প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে এ আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি। মাত্র তিনজন প্রার্থী এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করেন। অপর প্রার্থী হলেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দলের জন বল।
কিংসটন ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক রূপা লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশে তার আদি বাড়ি পাবনায়।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অপর দুই এমপি রুশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিক আবারও জয় পেতে যাচ্ছেন। বুথ ফেরত জরিপে দুই এমপি নিজ নিজ আসনে জয়ী হবেন বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভোট গণনার সর্বশেষ খবরও একই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এরা লেবার দলীয় প্রার্থী।
রুশনারা আলী বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন ধরে রাখতে লড়ছেন। রুশনারা ২০১০ সালে প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিসেবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি আসনটি তৃতীয় মেয়াদে ধরে রাখার জন্য লড়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে টিউলিপ দ্বিতীয় মেয়াদে আসন ধরে রাখার জন্য লড়ছেন। শিগগিরই এসব আসনের ফলাফল জানা যাবে।