ঢাকা ঃ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংকে টাকা গচ্ছিত রাখা ও ওঠানোর ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করার কারণে মানুষ এখন আর ব্যাংকে টাকা রাখবে না বলে মন্তব্য করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো ২০১৭-১৮ সালের বাজেটের ওপর অভিমত ব্যক্ত করে এ মন্তব্য করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাজস্ব আদায়ে অপ্রত্যক্ষ করের হার এখনও প্রধান। ভবিষ্যতে আয়কর রাজস্ব আদায়ের ৫০ শতাংশ করা হবে বলে আশার কথা শোনানো হলেও বাজেট প্রস্তাবনায় এর কোনো প্রতিফলন নাই। বরং অর্থমন্ত্রী সম্পদের ওপর করারোপে এখনও রাজি নন। ভ্যাটের ক্ষেত্রে বড় ধরনের অব্যাহতি দেওয়া হলেও এর চাপ সাধারণ মানুষের ওপর পড়বে। বিশেষ করে যেভাবে করারোপ করা হয়েছে তাতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উদাহরণ হিসেবে ব্যাংকে টাকা গচ্ছিত রাখা ও ওঠানোর ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করা, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার সম্পর্কে গৃহীতব্য পদক্ষেপসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করা যায়। এর ফলে মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখবে না। সঞ্চয়পত্রর সুদের হার সম্পর্কে কোনো ব্যবস্থা গৃহীত হলে তাতে মধ্যবিত্ত ও পেনশনভোগীরা বিশেষভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে। অন্যদিকে ব্যাংকে অর্থ গচ্ছিত না রেখে তা পাচার হয়ে যাবে।
তারা বলেন, তবে এই উন্নয়নের সুফল সাধারণ মানুষ পাবে কিনা তা নিয়ে যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে বাজেট প্রস্তাব তা দূর করেনি। বিশেষ করে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশে গরিব ও বড়লোক, গ্রাম ও শহরের মধ্যে যে বৈষম্য সৃষ্টি হয়ে চলেছে তা নিরসনের কোনো পদক্ষেপ বাজেটে গৃহীত হয়নি। বাজেট কর্মসংস্থান সম্পর্কেও নিরব। বিবিএস হিসাব অনুযায়ী গত এক বছরে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও কর্মসংস্থান কমেছে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সাধারণ কথা বলা হলেও এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নেই। তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি যে হারে বৃদ্ধি পচ্ছে তাতে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নিরূপণ করা দোষের কিছু নয়। বরং বাজেটের বৃহদায়তন তার বাস্তবায়নের যে দায়িত্ব তুলে দিল সেই সক্ষমতা অর্জন করতে পারলে অর্থনীতি আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে।