ঢাকা; অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেটে প্রত্যাশার সঙ্গে বাস্তবায়ন কাঠামোর কোনো নির্দেশনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। দেবপ্রিয় বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু এর আয় ও ব্যয়ের কাঠামোর মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। তার মতে, শুধুমাত্র প্রসাশনিক কাঠামো দিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। বাজেট বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সহায়তা দরকার। বাজেট বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক অর্থনীতিও প্রয়োজন। জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। কিন্তু আমরা তা দেখছি না।
গতকাল জাতীয় সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর পর্যালোচনায় এসব কথা বলেন তিনি। বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে আজ রাজধানীর হোটেল লেকশোরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিপিডি। বাজেট নিয়ে সিপিডির পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন সংস্থাটির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময় সিপিডির সম্মানিত ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমসহ সংস্থার অন্য গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের জন্য সংসদীয় কমিটির বাইরে বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশের বাজেট বাস্তবায়নে বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক নেতাদের অবদান নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় বাজেট বাস্তবায়নে বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের অবদান রাখার কোনো সুযোগ নেই। আবার তাদের পক্ষ থেকেও এই ধরনের কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না।
তিনি বলেন, বাজেটে ঘাটতি মেটাতে ৭৬ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণের সহায়তা আমাদের আশ্চার্য করেছে। কারণ আমাদের ২০১৬ সালে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক ঋণের সহায়তা আসে যার পরিমান মাত্র ২৭ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া বৈদেশিক ঋণ ব্যয় করতে পারছে না। তারপরও সরকার কিভাবে প্রায় তিনগুণ বাড়ানো হল তা জানি না। তাই ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক উৎস হতে অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়েও সংশয় প্রকাশ করে সিপিডি।
ড. দেবপ্রিয় আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ৭.৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের সরকারি বিনিয়োগ বড় ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগ উন্নীত করতে হবে। অর্থনীতির সঙ্গে বাজেটের আকারও বাড়াতে হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাজেটের আকার বাড়ানো জন্য যে সক্ষমতার প্রয়োজন তাতে ঘাটতি আছে বলে আমরা মনে করি।
গতকাল জাতীয় সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর পর্যালোচনায় এসব কথা বলেন তিনি। বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে আজ রাজধানীর হোটেল লেকশোরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিপিডি। বাজেট নিয়ে সিপিডির পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন সংস্থাটির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময় সিপিডির সম্মানিত ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমসহ সংস্থার অন্য গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের জন্য সংসদীয় কমিটির বাইরে বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশের বাজেট বাস্তবায়নে বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক নেতাদের অবদান নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় বাজেট বাস্তবায়নে বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের অবদান রাখার কোনো সুযোগ নেই। আবার তাদের পক্ষ থেকেও এই ধরনের কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না।
তিনি বলেন, বাজেটে ঘাটতি মেটাতে ৭৬ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণের সহায়তা আমাদের আশ্চার্য করেছে। কারণ আমাদের ২০১৬ সালে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক ঋণের সহায়তা আসে যার পরিমান মাত্র ২৭ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া বৈদেশিক ঋণ ব্যয় করতে পারছে না। তারপরও সরকার কিভাবে প্রায় তিনগুণ বাড়ানো হল তা জানি না। তাই ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক উৎস হতে অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়েও সংশয় প্রকাশ করে সিপিডি।
ড. দেবপ্রিয় আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ৭.৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের সরকারি বিনিয়োগ বড় ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগ উন্নীত করতে হবে। অর্থনীতির সঙ্গে বাজেটের আকারও বাড়াতে হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাজেটের আকার বাড়ানো জন্য যে সক্ষমতার প্রয়োজন তাতে ঘাটতি আছে বলে আমরা মনে করি।