পার্বতীপুরের অজপাড়া গাঁয়ের হতদরিদ্র ও প্রতিবন্ধী দিনমজুরের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরী (১১) ধর্ষিত হয়ে এখন ৫ মাসের অন্তসত্বা। নিরাপত্তাহীনতা ও লোকলজ্জার কারনে তার স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে সে তার নানা নানীর হেফাজতে রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কিশোরীর নানা মোঃ জহুরুল হক বাদী হয়ে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানাযায়, উপজেলার ৯নং হামিদপুর ইউনিয়নের খলিলপুর মোল্লাপাড়া গ্রামের হত দরিদ্র শাহিনুর মোল্লা ও তার স্ত্রী জোহরা বেগম প্রতিদিনের ন্যায় গত ৬ জানুয়ারি বাড়ী থেকে বেড়িয়ে দিন মজুরি দিতে যান। সকাল ১০ টার দিকে মোঃ সবুরের পুত্র শহিম উদ্দিন ওই বাড়িতে ঢুকে কিশোরীকে একা পেয়ে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে।
আজ বুধবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে ভিকটিমের মায়ের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, আমার স্বামী একজন প্রতিবন্ধি মানুষ। জমিজমা না থাকায় আমরা দুই মানুষ (স্বামী-স্ত্রী) অন্যের জমিতে, বাড়িতে কাজ করি। তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন গত ৬ জানুয়ারী আমার স্বামী দিন মজুরি দিতে যার। আমি সেদিন ইটভাটায কাজ করতে যাই।
সকাল ১০ টার দিকে সবুরের ছেলে শহিম উদ্দীন বাড়ীতে ঢুকে আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। চলে যাওয়ার সময় সে ঘটনা ফাঁস করলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ভয়ে মেয়েটি সে কথা কাউকে বলেনি। সম্প্রতি আমার মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করে আমি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সব ঘটনা খুলে বলে।
ভিকটিমের নানা মোঃ জহুরুল হক বলেন, গত রবিবার ২১ মে রাতে মোঃ সবুরের বাড়িতে গ্রামের লোকজন নিয়ে এক সালিশ বৈঠক হয়। সেখানে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান কালামসহ অনেক গণ্যমান্য লোক উপস্থিত ছিলেন। মোঃ শহিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও কিশোরীর গর্ভের সন্তানের দায়ভার নিতে রাজি হয়নি।
এ ব্যপারে শহিম উদ্দিনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেও তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে একাধিক প্রতিবেশী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সালিশ বৈঠকে শহিম উদ্দিন তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।
পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি মোঃ মোস্তাক আহাম্মেদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি। এখন সব প্রসেস শেষ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।