ঢাকা; বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণ মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ ও র্যাগমান গ্রুপের পরিচালক সাদমান সাকিফ। স্বীকারোক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ইউসুফ আলী।
সূত্রে জানা গেছে, ২৮শে মার্চে রেইনট্রি হোটেলের ওই ঘটনার জন্য তারা অনুতপ্ত। এ জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন সাফাত ও সাকিফ। সকালে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে পৃথকভাবে বিচারকের খাস কামরায় তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়। সাফাতের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাবীব ও সাদমান সাকিফের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরী।
গতকাল বৃহস্পতিবার সাদমান সাকিফের পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষ হয়। অন্যদিকে আজ শুক্রবার সাফাত আহমেদের রিমান্ড শেষ হওয়ার কথা। তার আগেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয় সাফাত আহমেদ। সাফাত ও সাকিফের ইচ্ছা অনুসারেই জবানবন্দি গ্রহণ করতে আদালতে হাজির করা হয় তাদের।
সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে এ মামলার আরেক আসামি নাঈম আশরাফ। গত বুধবার রাতে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের চান্দেরবাজারে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ নাঈম আশরাফকে ঢাকায় নিয়ে আসে। এই ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফকে গত ১১ই মে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৫ই মে ঢাকার নবাবপুর রোডের ইব্রাহিম হোটেল থেকে গাড়িচালক বিল্লালকে র্যাব ও গুলশান থেকে গানম্যান রহমত আলীকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গত ৬ই মে বনানী থানায় সাফাত, নাঈম, সাকিফ, বিল্লাল, রহমত ওরফে আবুল কালামকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন এক তরুণী। এতে অভিযোগ করা হয় ২৮শে মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের দাওয়াতে ডেকে নিয়ে ওই মামলার বাদী ও তার বান্ধবীকে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম। ধর্ষণকালে এর ভিডিও চিত্র ধারণ করে সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল। অন্যরাও এতে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে।