স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
স্যার, আমি এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। আমার বিয়ের বয়স হয়নি। আমার পরিবারের লোকজন জোর করে আমাকে বিয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমি বিয়ে করতে চাই না আমি পড়া শোনা করতে চাই। আমার বাল্য বিবাহ আপনি ঠেকান।’ এমন ভাবেই বুধবার বিকালে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ছাদেকুর রমানের কাছে ফোন করে জানান রতনা খাতুন (১৬) নামের এক কিশোরী।
এর পর রাতে ঐ কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বাল্য বিবাহ বন্ধ করেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার। রতনা কালীগঞ্জ পৌরসভার আড়পাড়া গ্রামের জাক্কু মিয়ার মেয়ে।
ইউএনও ছাদেকুর রহমান জানান, মেয়েটি বিকালে বাল্য বিবাহ বন্ধ করার জন্য আমাকে ফোন করেন। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মেয়েটির বাড়িতে যান। এর পর পরিবারের লোকজনকে বুঝিয়ে বিবাহটি বন্ধ করেন ইউএনও।মেয়েটি লেখাপাড়া করতে চায়। তিনি জানান, সমাজের অন্য মেয়েরা যদি এভাবে বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তাহলে একদিন এ উপজেলা বাল্য বিবাহ মুক্ত হবে।