অল্প বয়সেই শিক্ষার্থীদের যৌন আসক্তি

Slider তথ্যপ্রযুক্তি

61423_chindlren-porn-online

ঢাকা;  অল্প বয়সেই শিক্ষার্থীরা অনলাইনে যৌন আসক্তিতে ঝুঁকে পড়ছে। তারা ক্লাসের ভিতরে ও বাইরে একে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করছে অতিমাত্রায় যৌনতা সংক্রান্ত তথ্য, ছবি ও রগরগে সব ভিডিও। এসব কথা বলেছেন যুক্তরাজ্যের শিক্ষকরা। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এতে বলা হয়েছে, অনলাইনে পর্নোগ্রাফি অবাধ হওয়ায় স্কুলের গন্ডি পেরোনোর আগেই শিক্ষার্থীরা ভয়াবহ এই নেশায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে এক জরিপ চালানো হয়েছে। দেড় হাজারেরও বেশি শিক্ষকের ওপর এ বিষয়ে জরিপ চালানো হয়েছে। তাতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের এমন আচরণ সম্পর্কে জানেন দুই-তৃতীয়াংশ বা শতকরা প্রায় ৬২ ভাগ শিক্ষক। তারা বলেছেন, অনলাইন থেকে যৌনতায় আসক্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতি ৬ জনের একজন হলো প্রাথমিক স্কুল পড়–য়া বয়সী। যেসব শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তাদের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা। তারা বলেছেন এসব মোবাইল ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা নিজেদের নগ্ন ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দিচ্ছে। যেসব শিক্ষার্থী নরম মনের, শান্ত শিষ্ট তাদেরকে এসব ছবি পাঠিয়ে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে, তাদেরকে যৌন হয়রানি করার জন্য এসএমএস দিচ্ছে। শুধু তা-ই নয়। শিক্ষকরা বলেছেন, ক্লাসের পড়া চলাকালীনও কিছু শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন ব্যবহার করে যৌন কর্মকান্ড চালায়। সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার করে তারা এসব অপকর্ম করছে। কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের জন্য একটি গ্রুপ তৈরি করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে। একজন শিক্ষক বলেছেন, ওই গ্রুপের সদস্যরা অন্য শিক্ষার্থীর ‘রেটেড’ ছবি গোপনে তুলে তা প্রকাশ করে দিচ্ছে সেই গ্রুপে। আরেকজন শিক্ষক বলেছেন, আরেকটি গ্রুপ একটি ভুয়া পেজ চালু করেছে। এটা ব্যবহার করে অন্য শিক্ষার্থীদের তাদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। উৎসাহিত করা হচ্ছে তারাও যেন তাদের নগ্ন ছবি তুলে তা ওই পেজে পোস্ট করে। এভাটে একে অন্যের কাছে নগ্ন ছবি বিনিময় করে। তারপর তা চলে যায় রগরগে সব ওয়েবসাইটে। শিশুদের দাতব্য সেবদানকারী প্রতিষ্ঠান বার্নাডো এ ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছে। এর প্রধান নির্বাহী জাভেদ খান বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অনলাইন পর্নোগ্রাফি ও অন্য ক্ষতিকর অনলাইন শিশুদের মাথা বিকৃত করে তাদেরকে বিপথে পরিচালিত করতে পারে। এতে তাদের শরীর সম্পকে, তাদের স্বাস্থ্যগত সম্পর্ক ও অন্যান্য ধারণাই পাল্টে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *