ঢাকা; শায়খ আব্দুর রহমান ও ছিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইয়ের মতো একই পরিণতি হলো মুফতি হান্নানসহ তিন শীর্ষ জঙ্গির।
রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর এবং সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। মুফতি হান্নান ছাড়াও শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল এবং দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
রাত ১০টার দিকে কাশিমপুরে মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল এবং সিলেট কারাগারে দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি কার্যকর হয়।
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি-বি) ও হরকাতুল মোজাহেদীনের অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিল মুফতি আবদুল হান্নান। তার সঙ্গে হুজি-বি’র এ দু’সদস্যের মৃত্যুদ- কার্যকর উপলক্ষে দু’কারাগারে গত সোমবার থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। প্রেসিডেন্টের কাছে করা তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচের চিঠি গত সোমবার দুপুরে কাশিমপুর ও মঙ্গলবার সকালে সিলেট কারাগারে পৌঁছে। এরপর থেকে দু’কারা কর্তৃপক্ষ ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু করে। একে একে সম্পন্ন হয় স্বজনদের সাক্ষাৎসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা।
২০০৪ সালের ২১শে মে তৎকালীন নবনিযুক্ত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৃটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে গ্রেনেড হামলায় ৩ জন নিহত ও ৭০ জন আহতের মামলায় তাদের এই পরিণতি বরণ করতে হলো। একই মামলায় অপর আসামি মুফতি হান্নানের ভাই মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি ও মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দাল যাবজ্জীবন কারাদ-ের সাজা ভোগ করছে। এর আগে ২০০৪ সালের ৩০শে মার্চ একই দিন চার কারাগারে জামা’আতুল মুজাহিদীনের (জেএমবি) শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমান ও ছিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইসহ ৬ জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর হয়েছিল। আব্দুর রহমানও হান্নানের মতো আফগান ফেরত জঙ্গি ছিল।