ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন শিক্ষিকা। তারপর থেকে তাদের বাধাহীন শারীরিক সম্পর্ক (লেসবিয়ান রিলেশন)। কিন্তু পাড় পেলেন না ওই শিক্ষিকা কিমবারলি নাকুইন (২৭)। ধরা পড়ে তাকে দ্বিতীয়বারের মতো স্কুল থেকে বরখাস্ত হতে হলো। যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় ঘটে যাওয়া এ কাহিনী এখন সেখানে মানুষের মুখে মুখে। বলা হয়েছে, কিমবারলি তার ১৬ বছর বয়সী এক ছাত্রীর সঙ্গে এ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। তা স্থায়ী হয়েছিল ১১ মাস। প্রথমে শ্রেণিকক্ষে শুরু। তারপর ফ্লাট পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। অভিযোগ স্বীকার করেছেন শিক্ষিকা কিমবারলি। বলেছেন, ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার রয়েছে শারীরিক সম্পর্ক। এ অভিযোগে ওই স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতির মেয়ে কিমবারলিকে দু’বছরের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে তাকে একই অপরাধে ৫ বছরের জেল দেয়া হয়েছিল। সেই শাস্তি স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু লুইজিয়ানায় ওই একই ছাত্রীর সঙ্গে আলাদা একটি স্থানে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা অবস্থায় তাকে পাওয়া যাওয়ায় সেই শাস্তি ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে তাকে। এ বিষয়ে আদালতে শুনানি চলছে। মঙ্গলবার সেন্ট চার্লস পারিশ-এ প্রকিসিউটর জোয়েল চাইসন বলেছেন, এ মামলার সকল তথ্যপ্রমাণ আমি দেখেছি। নির্যাতিত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর আগে মার্চের শুনানিতে কিমবারলি তার ছাত্রী ও ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের কাছে তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, আমি আপনাদের বিশ্বাসের সঙ্গে প্রতারণা করেছি। তিনি আরো স্বীকার করেন বিকৃত মানসিকতা চরিতার্থ করতে গিয়ে কৃত্রিম যন্ত্রের সহায়তা নিয়েছেন। আদালত তখন তাকে একজন মনোবিজ্ঞানীর কাছে নিতে নির্দেশ দিয়েছিল। তিনি যেন কোনো টিনেজ মেয়ের সঙ্গে মিশতে না পারেন এমনও নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। বিচারক জুন ডারেনসবুর্গ তাকে সতর্ক করে বলেছিলেন, আমি তোমাকে নিশ্চয়তা দিতে পারি। যদি তুমি প্রবেশন পিরিয়ডে কোনো রকম শর্ত ভঙ্গ কর তাহলে তোমাকে ৫ বছরের জন্য জেলে যেতে হবে। উল্লেখ্য, ডেসট্রেহান হাই স্কুলে শিক্ষার্থীদের ওপর শিক্ষক বা শিক্ষিকার যৌন নির্যাতনের অভিযোগ মাঝেমাঝেই শোনা যায়। ২০০৮ সাল থেকে এ যাবত সেখানে চার জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ শোনা গেল।