চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শফিকুল ইসলাম সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জানান, সকাল আটটা থেকে ‘অপারেশন স্ট্রাইক আউটের’ প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আস্তানা এলাকার চারদিক ঘিরে ফেলা হয়েছে। আস্তানার আশপাশে যাতায়াতের সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আস্তানার আশপাশের এলাকায় সকালে মাইকিং করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তায় সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সবাইকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়। আশপাশের এলাকায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা রয়েছেন।
আজ শুক্রবার সকাল সাতটা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রূপালী মণ্ডল।
বুধবার বিকেল থেকে ওই এলাকার বড় কবরস্থানের পশ্চিম পাশে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে নির্মাণাধীন তিনতলা একটি বাড়ি ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দেলোয়ার হোসেনের ওই বাড়ির নিচতলায় জঙ্গি রয়েছে বলে তাঁদের সন্দেহ। সেখানে একটি কক্ষে জঙ্গিরা বোমা ও বিস্ফোরক নিয়ে অবস্থান করছে বলে পুলিশের ধারণা।
বাড়িটির নিচতলার আরেক পাশে বিজিবির এক সদস্যের পরিবার ভাড়া থাকে। দ্বিতীয় তলায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেস করে থাকেন। তৃতীয় তলার নির্মাণকাজ এখনো কাজ শেষ হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান শুরু হয়নি। জানানো হয়েছিল, আজ অভিযান চলবে।
সিলেটের আতিয়া মহলে সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ শেষ হওয়ার পরই পাশের জেলা মৌলভীবাজারে দুটি জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন হিট ব্যাক’ নামে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এই অভিযানে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সঙ্গে সোয়াটও যোগ দেয়। নাসিরপুরে গতকাল অভিযান শেষে ছিন্নভিন্ন সাত থেকে আটজনের লাশ পাওয়া যায়। আজ সকাল থেকে বড়হাটের সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ নামে অভিযান চলছে। সেখানে থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।