যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদের নির্যাতনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা ক্ষমতায় আছি। কই, বিএনপির ওই রকম নেতা-কর্মী বা মহিলাদের ওপর নির্যাতন করি না। করলে তো করতে পারি, করতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করি না।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৯৩ দিন তাঁর গুলশান কার্যালয়ের অবস্থানের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী অফিসে বসে হুকুম দিল অত্যাচার করো, মানুষ মারো, আগুনে মানুষ পোড়াও। সবকিছু করো যাতে সরকার উৎখাত হয়। উনি প্রতিজ্ঞা করে বসে ছিলেন, এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত উনি ঘরে ফিরে যাবেন না। আমি যদি ওনাকে জিজ্ঞাসা করি, উনি ঘরে ছিলেন, না রাস্তায় ছিলেন? উনি কী জবাব দেবেন।’
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা অত্যাচার করে সরকার উৎখাত করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ সাড়া দেয়নি। জনগণই তাদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ঠেকায়। তখন এটা বন্ধ হয়।’
বিএনপি ক্ষমতাকে ভোগের বস্তু মনে করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই অর্থসম্পদের মালিক হয়েছে। মুষ্টিমেয় কিছু লোককে অর্থসম্পদের মালিক করেছে। তাদের জোরে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছে। এটা ছাড়া তারা আর কিছুই করেনি।’
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নারীর উন্নয়নে, নারীর ক্ষমতায়নে আমরা যে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছি। বিদেশেও নারীরাও যাচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও সরকার করছে।’ নারীদের এ উন্নয়নের কথা জনগণকে জানানোর আহবান জানান তিনি।
যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল প্রমুখ।