প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে নিজ শহর ফুয়েন্তেরাবিয়ায় উৎসবটাতে যোগ দেন উনাই এমেরি। উৎসব বলতে ১৬৩৮ সালে ফরাসি সেনাদের বিরুদ্ধে বাস্কদের বিজয়গাথা স্মরণ। কিন্তু এবার ভিন্ন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি বাস্করা। তাদেরই সন্তান এমেরি স্পেনে এসেছেন ফরাসিদের জয়গান গাইতে!
প্যারিসে ভালোবাসা দিবসে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে বার্সেলোনা ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল এমেরির প্যারিস সেন্ট-জার্মেইর (পিএসজি) কাছে। ফিরতি লিগের হিসাব মেলাতে কাল ন্যু ক্যাম্পে বার্সার মুখোমুখি পিএসজি। এখন ফুয়েন্তেরাবিয়ার অধিবাসীরা কোন দলকে সমর্থন দেবে—স্বদেশি ক্লাব বার্সা, নাকি এমেরির পিএসজি?
উত্তরটা খুব কঠিন নয়। স্পেনের বাস্ক অঞ্চলের শহর ফুয়েন্তেরাবিয়ার সমর্থন পিএসজির দিকেই। এমেরির রক্তেই ফুটবল। বাবা খেলেছেন দেপোর্তিভো লা করুনিয়ার গোলরক্ষক হিসেবে। দাদা দুবার জিতেছেন স্প্যানিশ কাপ। তবে খেলোয়াড় হিসেব এমেরির ক্যারিয়ার খুব একটা উজ্জ্বল ছিল না। রিয়াল সোসিয়েদাদের ‘বি’ দলে কেটেছে তাঁর পাঁচ বছর (১৯৯০-৯৫)। প্রথম বিভাগের পাঁচ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে। ক্যারিয়ারের বাকি সময়টা কেটেছে দ্বিতীয় বিভাগের দল তোলেদো, ফেরল ও লেগানেসের হয়ে।
তবে কোচ হিসেবে খেলোয়াড়ি জীবনের অতৃপ্তিগুলো যেন ঘুচিয়ে দেওয়ার পণ নিয়েছেন। পিএসজিকে নিয়ে যেতে চাইছেন নতুন উচ্চতায়। তারই প্রথম ধাপ হিসেবে ফরাসি ক্লাবটি বার্সার বিপক্ষে স্মরণীয় এক জয় দিয়ে শেষ চারে এক পা দিয়ে রেখেছে।
এমনিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজ দেশের দলকে সমর্থন দেওয়াই রেওয়াজ, যদি না সেই ক্লাবটি চিরশত্রু হয়। যেমন মাদ্রিদের খুব কম মানুষই চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সার সমর্থক। এবার সেই দলটা আরও ভারী হলো। এবার যে এমেরির শহরের কেউ বার্সার পক্ষে থাকবে না। তারা অন্তত এক ম্যাচের জন্য হয়ে যাবে ফরাসি। অথচ ফরাসিদের বিরুদ্ধে লড়াই জেতার গৌরব নিয়েই উৎসব করে তারা! ফুটবল কীভাবেই না ছক বদলে দেয়! সূত্র: এএফপি।