স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা: ২৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা গাসিক নির্বাচন। এরই মধ্যে আরো তিনটি সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশে এখন নির্বাচনী আমজে বইছে বলতে হবে। তবে এই আমেজের কতটুকু বাস্তবতা আছে, তা নির্ভর করছে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর মর্জির উপর। কিন্তু পরিস্থিতি বলছে, উৎসবের আমেজ ভোটারদের উপর আর নির্ভর করছে না। সব নির্বাচনের মধ্যে গাসিক নির্বাচনে শুরু হয়ে হয়েছে অদৃশ্য প্রচারণা। প্রধান দুই প্রার্থীর পক্ষেই এই অদৃশ্য প্রচারণার ধুম পড়ে গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গতকাল গাসিকের বর্তমান মেয়র ও বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মান্নান উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড গেছেন। চিকিৎসার জন্য গিয়ে থাকলেও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের নির্বাচনী প্রচারণায় এটা নতুন করে প্রশ্ন তৈরী করবে। এমনি নির্বাচনে প্রথম থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে মান্নান-হাসান সম্পর্ক নিয়ে। বিদেশ যাওয়ার আগে অধ্যাপক এম এ মান্নান কোথাও গোপনে তার কর্মীদের বলে গেছেন, ধানের শীষের নির্বাচন করতে, এমন কোন দৃশ্য প্রকাশ হয়নি তেমনভাবে।
এদিকে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থীর নিজ দলীয় সাবেক প্রতিদ্বন্ধি আজমত উল্লাহ খানকে ঘিরে মুখরোচক আলোচনা প্রথম থেকেই। অভিযোগ রয়েছে. রিট করে নির্বাচন স্থগিতকারী চেয়ারম্যান, আজমত উল্লাহ খানের বিয়াই। আজমত উল্লাহ ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ এক জোট আগে থেকেই। সন্দেহ সব সময়ের যে, আজমত উল্লাহ, কিরণ কে নিয়ে জাহাঙ্গীরের নির্বাচন করছেন কি না। তবে দলীয় নির্দেশে তারা নির্বাচন করছেন নৌকার পক্ষে, এই দাবী চিরায়ত, এতে সন্দেহ নাই।
পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, দুটি প্রতীকের পক্ষেই সরাসরি প্রচারণার বাইরে অদৃশ্যের প্রচারণা রয়েছে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। দুই প্রতীকের পক্ষেই হেভীওয়েট নেতারা কার নির্বাচন করছেন! আর কাকে ভোট দিতে বলছেন!তা অষ্পষ্ট ও অদৃশ্য।
তাই সাধারণ ভোটারদের অভিমত, প্রচারণার যেমন দৃশ্যমান অবস্থা আছে তেমনি অদৃশ্যমান অবস্থাও আছে। এই অবস্থায় ১৮ জুন আসুক দেখা যাক, প্রচারণা শুরু হলে কোনটা দৃশ্যমান হয়।