দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, শুধু ঘুষ নেওয়া দুর্নীতি নয়, বরং সঠিক সময়ে অফিসে না আসা, শিক্ষার্থীদের ক্লাস ফাঁকি দেওয়া, জনগণকে সেবা না দেওয়া—এটাও এক প্রকার দুর্নীতি। তাই দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে সততার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
কক্সবাজারের টেকনাফে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি এ আহ্বান জানান। ‘দেশ গড়ার প্রয়োজনে দুর্নীতি রুখব সর্বজনে’ স্লোগানে উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দুদক কমিশনার বলেন, যেখানে দুর্নীতি, সেখানে প্রতিবাদ করতে হবে। যারা দুর্নীতি করছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। শুধু দুদকের একার পক্ষে দুর্নীতি কমানো সম্ভব নয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
কক্সবাজারের টেকনাফে যাঁরা দুর্নীতিবাজ, তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে উল্লেখ করে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দুর্নীতি পুরোপুরি বন্ধ করতে না পারলেও দুর্নীতি কমানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। একই সঙ্গে দুদক দুর্নীতিবাজদের শতভাগ শাস্তি নিশ্চিতের কাজ করে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ হলে দুর্নীতি কমে যাবে। ইতিমধ্যে ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান শুরু করেছেন। যারা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে, তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সভায় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও একটি কলেজসহ ২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম সততার সঙ্গে কাজ করতে সবাইকে শপথবাক্য পাঠ করান।
সভায় আরও বক্তব্য দেন দুদকের পরিচালক মনিরুল জামান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রুহুল কুদ্দুস, জেলা অতিরিক্ত রাজস্ব কর্মকর্তা আবু নাছের ভুঁইয়া, টেকনাফ উপজেলা দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জাহেদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।