ষ্টাফ করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর অফিস: ঘোষনা হয়েছে তপসিল। চলছে মনোনয়ন লাভের শেষ কারিশমা। ১০ দিনের মধ্যেই শেষ হচ্ছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এরই মধ্যে দলীয় প্রার্থীরা তাদের দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কে মনোনয়ন পাবেন, তা নিয়ে চলছে নানা রঙের খেলা। সময়ের চাকায় পিষ্ট সময়, এক এক নেতাকে এক এক প্রার্থীর সঙ্গে দেখাচ্ছে এক এক সময়।
অসুন্ধানে দেখা যায়, নির্বাচন আসলে ভোটাররা প্রার্থীদের চৌদ্দগোষ্ঠির খবর উদ্ধার করে। প্রার্থী বা তার চৌদ্দগোষ্ঠি কবে কি ছিল, কি কি মন্দ কাজ করেছেন, তাই বেশী করে আলোচনায় আসে। কিন্তু কোন ভাল কাজ তেমন বিবেচনায় আসে না।
স্থানীয় সরকার দলীয় হওয়ার পর অবশ্য প্রার্থীর চৌদ্দগোষ্ঠির খবর উদ্ধার প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে। কারণ দলীয় প্রতীকের প্রতি আকৃষ্ট ভোটাররা প্রার্থীর ইতিহাস নিয়ে তেমন ব্যস্ত নয়। তবে ভোটারদের মধ্যে যারা সমর্থক গোষ্ঠি তারা প্রার্থীর ইতিহাস খোঁজ করেন। প্রার্থীর যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, আচরণ, বাবা মায়ের খোঁজখবর এমনকি প্রার্থীর অর্থনৈতিক দিকটাও বিশ্লেষন করেন ভোটাররা। টাকার মাত্রা বেশী হলে টাকাও নেবে আবার উৎসও খুঁজবে। বেশী টাকা নিয়ে বেশী করে খুঁজবে এত টাকা কোথায় পেলো! টাকার উৎস কি! এই সব। তবে রাষ্ট্রযন্ত্র যখন কালো আর সাদা টাকাকে পৃথক করতে পারে না, তখনই ভোটাররা কালো টাকার উৎস খোঁজতে চায়।
এ দিকে গাসিক নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলররা দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য শেষ সময়ের দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন। যদিও কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন নেই, তবুও দলীয় সমর্থন একক করতে কাউন্সিলররাও নেতাদের পিছু পিছু ঘুরছেন। গতকাল তপসিল ঘোষনার পর থেকে প্রার্থীরা দলীয় নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন পাগলের মত।
গাসিক নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের তিন প্রার্থীই এখন ঢাকামুখী। ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীরাও ঢাকায়। শুধুমাত্র জাসদের প্রার্থী এলাকায় আছেন মনোনয়ন নিশ্চিত করার ফলে।
নাগরবাসী আশা করছেন, আগামী কিছু সময়ে মধ্যেই হয়তবা দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়ে যাবে। আর তখনই দেখা যাবে কে কোন দলের প্রার্থী। তাই গাসিক নির্বাচনে প্রার্থীরা এখন সময়ে চূরাবালিতে ডিকবাজি খাচ্ছেন।