এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, যুবদলের নেতা নজরুল ইসলাম করেরদোন গ্রামের ‘আতালের ঘের’ নামের একটি চিংড়ি ঘেরের কর্মচারী ছিলেন। রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে মহানগর ছাত্রলীগের নেতা আসাদুজ্জামান নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫টি মোটরসাইকেলে করে একদল সন্ত্রাসী ওই ঘের দখল করতে যায়। এ সময় নজরুল বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। এতে নজরুলের বুকে গুলি লাগে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, গুলিতে নিহত নজরুল ইসলাম বড়কড়িয়া গ্রামের মো. আইনুদ্দিনের ছেলে। ঘের দখলকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির খবর শুনে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ওই এলাকা এখন শান্ত। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। নগরের গল্লামারী এলাকা থেকে চারটি মোটরসাইকেল ও দুজনকে আটক করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ছাত্রলীগের নেতা আসাদুজ্জামান রাসেল বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। এসবের সঙ্গে তিনি জড়িত নন।