ঢfকা; নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার রায় প্রকাশের পর পুলিশের বিশেষ শাখা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্তির আহ্বান জানিয়েছে প্রখ্যাত মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। ওই রায়কে অপরাধী র্যাব সদস্যদের দায়বদ্ধ করার একটি বিরল নজির হিসেবে দেখছে সংস্থাটি। তবে মৃত্যুদ–বিরোধী অবস্থান থাকায়, সংস্থাটি সাজাপ্রাপ্তদের মৃত্যুদ- কার্যকর না করার আহ্বান জানাবে।
সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক মীনাক্ষ্মী গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা একটি নিবন্ধে বলা হয়, র্যাবকে সরকারগুলো শুধু অপরাধের বিরুদ্ধে লড়তে মোতায়েন করেনি। বরং, প্রায়ই একে অভ্যন্তরীণ ‘ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে অনেক বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- হয়েছে। এগুলোকে ‘ক্রসফায়ারে’ মৃত্যু বলে অভিহিত করা হয়েছে। এর আগে হয়েছে নির্যাতন, গুম ও বাছবিচারহীন গ্রেপ্তার। কিন্তু র্যাবের প্রায় কোন সদস্যকেই এসব অপরাধের জন্য দায়বদ্ধ করা হয়নি। অন্তত এবারের আগ পর্যন্ত।
মীনাক্ষ্মী গঙ্গোপাধ্যায়ের নিবন্ধে আরও বলা হয়, র্যাবের ১৬ সদস্য সহ ২৬ জনকে মৃত্যুদ- দিয়েছে আদালত। আরও ৯ র্যাব সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেওয়া হয়েছে। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মৃত্যুদ-ের বিরোধী। এই দ- কার্যকর না করার আহ্বান জানাবে তারা।
এতে আরও বলা হয়, সরকারগুলো র্যাব কর্মকর্তাদের বিচার থেকে সুরক্ষিত রেখেছে। অনেক রাজনীতিক এমনকি তাদের অপরাধ যৌক্তিক বলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। বলা হয়, যারা দ-প্রাপ্ত হয়েছেন, এখানে শুধু তাদেরই দায় রয়েছে, তা নয়। সরকারেরও দায় রয়েছে। কারণ, এক ধরণের দায়মুক্তির পরিবেশ সরকারই তৈরি করেছে। পাশাপাশি র্যাবে সামরিক বাহিনী থেকে সদস্য অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি তুলে ধরা বলা হয়, ‘ট্রেইন্ড টু শ্যুট’ সেনাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে ঢোকানোর মধ্যে এমনিতেই ঝুঁকি রয়েছে। তবে পুলিশের গোয়েন্দা শাখাও র্যাব-স্টাইলে মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘণের জন্য দায়ী।
র্যাব সদস্যদের বিচারকে স্বাগত জানিয়ে নিবন্ধে বলা হয়, শুধুমাত্র ভিকটিম শাসক দলের সদস্য হলেই বিচার হবে, তা যাতে না হয়। প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জে খুন হওয়া ৭ জনের অন্যতম ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল।
নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়, বিরোধী দলে থাকাকালে আওয়ামী লীগও র্যাব বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছিল। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পূর্বে শেখ হাসিনা বলেছিলেন তিনি র্যাবে সংস্কার আনবেন। কিন্তু এসবের কিছুই হয়নি। তাই র্যাব বিলুপ্ত করে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বাহিনী গঠন করার জন্য এটিই সময়।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা এক চিঠিতেও র্যাব বিলুপ্তির দাবি জানায় এইচআরডব্লিউর
সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক মীনাক্ষ্মী গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা একটি নিবন্ধে বলা হয়, র্যাবকে সরকারগুলো শুধু অপরাধের বিরুদ্ধে লড়তে মোতায়েন করেনি। বরং, প্রায়ই একে অভ্যন্তরীণ ‘ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে অনেক বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- হয়েছে। এগুলোকে ‘ক্রসফায়ারে’ মৃত্যু বলে অভিহিত করা হয়েছে। এর আগে হয়েছে নির্যাতন, গুম ও বাছবিচারহীন গ্রেপ্তার। কিন্তু র্যাবের প্রায় কোন সদস্যকেই এসব অপরাধের জন্য দায়বদ্ধ করা হয়নি। অন্তত এবারের আগ পর্যন্ত।
মীনাক্ষ্মী গঙ্গোপাধ্যায়ের নিবন্ধে আরও বলা হয়, র্যাবের ১৬ সদস্য সহ ২৬ জনকে মৃত্যুদ- দিয়েছে আদালত। আরও ৯ র্যাব সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেওয়া হয়েছে। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মৃত্যুদ-ের বিরোধী। এই দ- কার্যকর না করার আহ্বান জানাবে তারা।
এতে আরও বলা হয়, সরকারগুলো র্যাব কর্মকর্তাদের বিচার থেকে সুরক্ষিত রেখেছে। অনেক রাজনীতিক এমনকি তাদের অপরাধ যৌক্তিক বলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। বলা হয়, যারা দ-প্রাপ্ত হয়েছেন, এখানে শুধু তাদেরই দায় রয়েছে, তা নয়। সরকারেরও দায় রয়েছে। কারণ, এক ধরণের দায়মুক্তির পরিবেশ সরকারই তৈরি করেছে। পাশাপাশি র্যাবে সামরিক বাহিনী থেকে সদস্য অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি তুলে ধরা বলা হয়, ‘ট্রেইন্ড টু শ্যুট’ সেনাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে ঢোকানোর মধ্যে এমনিতেই ঝুঁকি রয়েছে। তবে পুলিশের গোয়েন্দা শাখাও র্যাব-স্টাইলে মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘণের জন্য দায়ী।
র্যাব সদস্যদের বিচারকে স্বাগত জানিয়ে নিবন্ধে বলা হয়, শুধুমাত্র ভিকটিম শাসক দলের সদস্য হলেই বিচার হবে, তা যাতে না হয়। প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জে খুন হওয়া ৭ জনের অন্যতম ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল।
নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়, বিরোধী দলে থাকাকালে আওয়ামী লীগও র্যাব বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছিল। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পূর্বে শেখ হাসিনা বলেছিলেন তিনি র্যাবে সংস্কার আনবেন। কিন্তু এসবের কিছুই হয়নি। তাই র্যাব বিলুপ্ত করে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বাহিনী গঠন করার জন্য এটিই সময়।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা এক চিঠিতেও র্যাব বিলুপ্তির দাবি জানায় এইচআরডব্লিউর