গাইবান্ধা; নিখোঁজের ১০ দিন পর গাইবান্ধার যুবলীগ নেতা মনোয়ারুল হাসান জীম মন্ডল ও ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুল ইসলাম সাদেক হোসেন বাড়ি ফিরেছেন। বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে তাদের নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরে রেখে চলে যায় কয়েকজন। পরে সেখান থেকে তারা মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে মনোয়ারুল হাসান জিম মন্ডলের বাবা গোলাম মোস্তাফা ডিপটি মন্ডল ও সাদেকুল ইসলাম সাদেকের মা সাহিদা বেগম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
জীম মন্ডল জানান, অজ্ঞাত পরিচয় ১০-১৫ জন একটি মাইক্রেবাসে করে তাদের সাদুল্যাপুর-নলডাঙ্গা পাকা সড়ক থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাদের পরপর কয়েক জায়গায় আটক করে মারধর করা হয়। বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে তাদের সৈয়দপুর শহরে রেখে গেলে দুজনে মোটরসাইকেলে করে বাড়ী ফেরেন। তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তাদের চোঁখ বাঁধা থাকায় কাউকে চিনতে পারেননি।
এদিকে, দুই নেতা উদ্ধার হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতাকর্মীসহ জনসাধারণের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। তাদের সঙ্গে দেখা ও কথা বলার জন্য স্বজনসহ শতশত মানুষ বাড়ীতে ভিড় জমাচ্ছেন।
গত ৯ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে জিম ও সাদেক মোটরসাইকেলে করে সাদুল্যাপুর থেকে লালবাজার হয়ে নলডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম নয়নের কাছে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। এ নিয়ে সাদুল্যাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করে নিখোঁজ হওয়া দুই পরিবারের লোকজন। এছাড়া তাদের সন্ধান দাবিতে গত ১০ দিন ধরে সাদুল্যাপুর উপজেলা শহর ও নলডাঙ্গায় মিছিল, মিটিং হরতাল-অবরোধ, মানববন্ধন ও থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ও তাদের স্বজনরা। কিন্তু পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যরাও তাদের সন্ধান দিতে পারেনি।
অপরদিকে, দুই নেতার সন্ধান মিললেও অপর নিখোঁজ নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুল ইসলাম প্রিন্স ও নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শফিউল ইসলাম শাপলার খোঁজ মেলেনি। ১০ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নলডাঙ্গা থেকে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।