সাকিব-মুশফিকের ব্যাটে রেকর্ডময় দিন

Slider খেলা

48889_sakib

 

ডেস্ক;     সাকিব আল হাসান ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের ব্যাট চড়ে ওয়েলিংটন টেস্টের দ্বিতীয় দিনটি ছিল বাংলাদেশের জন্য রেকর্ডময়। সাকিব ২১৭ ও মুশফিক ১৫৯ রান করে আউট হলেও শেষ দিন শেষে টাইগারদের স্কোর বোর্ডে জমা পড়েছে ১৩৬ ওভারে ৫৪২ রান ৭ উইকেট হারিয়ে। টেস্টে বাংলাদেশের এখন পর্যন্তু চতুর্থ ইনিংসে সেরা রান এটি। কাল তৃতীয় দিন শুরু করবেন সাব্বির রহমান। তিনি অপরাজিত আছেন ১০ রান। দিনের শেষ মুহুর্তে এসে ১৩ বল খেলে কোন রান না করেই আউট হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।  দিনটি ছিল মূলত সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীমের। সাকিব দিন শুরু করেছিলেন ৫ রান নিয়ে। কিন্তু দারুণ ব্যাটিংয়ে তুলে নেন নিজের ক্যাারিয়ারে প্রথম ডবল সেঞ্চুরি।  তার ২৭৬ বলের ইনিংসে কোন ছয়ের মার ছিল না। কিন্তু হাঁকিয়েছেন ৩১টি চারের মার। এর আগে মুশফিকুর রহীম প্রথম ও তামিম ইকবাল টেস্টে দেশের হয়ে দ্বিতীয় ডবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। তবে সাকিব রানের দিক থেকে এই দু’জনকে পিছনে ফেলে উঠে গেছেন সবার উপরে। এর আগে ২০১০ সালে সাকিব নিউজিল্যান্ডে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি পেয়েছিলেন। অন্যদিকে মুশফিকুর রহীম ২৬০ বলের ইনিংসে ২৩ চারের সঙ্গে একটি ছয়ের মারও হাঁকান। এই দু’জনের ব্যাটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডও। দেশের মাটিতে টেস্টে ওপেনিংয়ে তামিম ও ইমরুল কায়েসের ৩১২ রানের জুটি ছিল এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। কিন্তু গতকাল সাকিব-মুশফিক সবাইকে পিছনে ফেলে গড়েছেন ৩৫৯ রানের জুটি। শুধু তাই নয় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের মাটিতে ইনিংসে ২০১৩ সালে ৫০১ ও কিউইদের মাটিতে ২০১০ সালে ৪০৮ই ছিল সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এবার সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৬৪ রান করে মুমিনুল হক ও ৫ রান করে সাকিব আল হাসান শুরু করেছিলেন দ্বিতীয় দিনের সকাল। কিন্তু মুমিনুল প্রথম দিন দারুণ খেললেও দ্বিতীয় দিন নিজের নামের পাশে আর কোন রান যোগ করতে পারেননি। আউট হয়ে ফিরেছেন সাজঘরে। তখন আগের দিন ১৫৪ রানের সঙ্গে যোগ হয়েছিল মাত্র ৬ টি রান। দিনের শুরুতে উইকেট তুলে নিতে পেরে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক দারুণ উচ্ছসিত ছিলেন। কিন্তু ক্রমেই সেই উল্লাস ফিকে হয়ে আসে। সাকিব আল হাল হাসানকে নিয়ে ক্রিজে আসা অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম দলের হাল ধরেছিলেন। এই দু’জন তুলে নেন সেঞ্চুরি। দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও সেরা দুই ব্যাটসম্যানের দারুণ অবদানে দেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে যোগ হল নতুন মাত্রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *