খন্দকার হাছিবুর রহমান, গাজীপুর: জেলা গোয়েন্দা শাখার(ডিবি) সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন যুবদল নেতা মোঃ বধু মনির(৩৫)। তিনি সাবেক স্থানীয় বাসন ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি জালাও পোঁড়াও সহ বিভিন্ন ধরণের প্রায় ২২টি মামলার আসামী ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার ভোররাতে গাজীপুর মহানগরের টিএনটি এলাকায় ডিবির সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে তিনি নিহত হন।
নিহতের পিতার নাম মৃত সিরাজুল ইসলাম। বাড়ি গাজীপুর মহানগরের লক্ষীপুড়া গ্রামে।
নিহতের ভাই সোহেল কামাল জানান, রোববার রাতে পূর্ব চান্দনা এলাকার জনৈক জলু মিয়ার বাড়ি থেকে ডিবি পুলিশ মনির সহ ৩জনকে আটক করে। সোমবার ভোররাতে মনির বন্দুক যুদ্ধে মারা যান বলে তার পরিবার জানতে পারে। অতঃপর গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে তারা লাশ সনাক্ত করেন।
তিনি আরো জানান, তার ভাই ৪/৫টি মামলার আসামী। সকল মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন। তার দুটি সন্তান আছে। আটকের আগ পর্যন্ত তিনি চরম অর্থ কষ্টে ছিলেন। ডিবি পুলিশ মনিরের সঙ্গে আরো ২জনকে আটক করে। তার মধ্যে একজনের নাম আনোয়ার হোসেন বলে জানান তিনি। অন্য জনের নাম জানেন না বলে জানিয়েছেন সোহেল কামাল।
গাজীপুর ডিবি পুলিশের ওসি আমির হোসেন জানান, গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে সন্ত্রাসীদের আটক করা হয়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধ হলে মনির মারা যান। এই ঘটনায় দুই জন পুলিশ আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে গুলি ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত মনির তালিকভূক্ত সন্ত্রাসী ও ২২ মামলার আসামী। তার সাথে থাকা আনোয়ার হোসেন পুলিশি হেফাজতে আছেন বলে জানান আমির হোসেন। তবে মনির হোসেন সহ আটক ৩জনের মধ্যে আরেকজন কে ছিলেন তা জানা যায়নি।
একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, নিহত বধু মনির ইয়াবা ব্যবসার একজন ডিলারের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। আটক ৩ জনের মধ্যে নাম প্রকাশ না হওয়া ব্যাক্তিটি ইয়াবার ডিলার এবং তিনি একজন কাউন্সিলরের ছেলে বলে সূত্রের দাবি।