যশোরে পুলিশ এক যুবককে ধরে নিয়ে থানার মধ্যে ঝুলিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বজনের অভিযোগ, চাহিদামতো দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে টাকা না দেওয়াতেই এ নির্মমতা চালায় পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার যুবক হলেন আবু সাঈদ (৩০)। তিনি যশোর সদর উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে। তাঁর স্বজন জানান, সাঈদকে ছাড়াতে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিল পুলিশ। শেষমেশ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে আনা হয়েছে।
যশোরের কোতোয়ালি মডেল থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাঈদকে গত বুধবার রাতে আটক করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল। পরে তাঁর কাছে তিনি ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাদিবুর রহমান দুই লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করায় সাঈদকে হাতকড়া পরিয়ে থানার মধ্যে দুই টেবিলের মাঝে ঝুলিয়ে পেটানো হয়। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ওই রাতেই সাঈদকে ছাড়িয়ে আনেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাঈদের এক স্বজন মুঠোফোনে বলেন, সাঈদের নামে মামলা রয়েছে। তবে তিনি জামিনে আছেন। বুধবার রাতে বিনা অপরাধেই তাঁকে আটক করে নির্যাতন করে পুলিশ। পরে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে আনা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি এসআই নাহিয়ানের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। যোগাযোগ করা হলে নাহিয়ান বলেন, ‘আমি শুনেছি আবু সাঈদকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু আমি আটক করিনি। আর আটকের পর কী হয়েছে তা আমি জানি না।’
এদিকে চেষ্টা করেও এসআই নাজমুলের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয়নি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এএসআই হাদিবুর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই।’