এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ উত্তরের সীমান্তবর্তী ছোট্ট জেলা ঠাকুরগাঁও। প্রতিটি ঋতুতে যার রয়েছে অনন্য রূপ-সৌন্দর্য। শীতকালে নতুন সাজে সাজতে শুরু করে জেলাটি। ফুলের সৌরভ, অতিথি পাখিদের মুহুর্মুহু কলতান, হরেকরকম পিঠাপুলি শীতের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
ঠাকুরগাঁওয়ে গতকাল (২৫ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২ টা থেকে ফোটা ফোটা বৃষ্টি আরম্ভ হয়। বেলা যত গড়াতে থাকে বৃষ্টি ও শীত উভয়ের তীব্রতা তত বাড়তে থাকে। আজ (২৬ ডিসেম্বর) বেলা ৯ টার পর সেটি মাঝারি বৃষ্টিতে রূপ নেয়। ক্রমে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়তে শুরু করলেও কমতে শুরু করে শীতের তীব্রতা।
ধীরে ধীরে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো জনপদ। সেই ভোরবেলা যারা জীবন-জীবিকার টানে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে তারাও বাড়ি ফিরতে শুরু করে। সকাল ৮ টায় মেহনতি মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠা ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড ট্রাফিক মোড়টি ঘন্টা ব্যবধানে প্রায় জনশূন্য হয়ে যায়। বেলা ১০ টায় আবহাওয়া বদলাতে শুরু করলে ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করে চিরচেনা বাসস্ট্যান্ড ট্রাফিক মোড়ের রূপ।
সকাল ১০ টায় পূর্ব গোয়ালপাড়ার অতিপরিচিত রিকশাচালক মালাইয়ের সাথে দেখা। সে জানায়, আমি সচরাচর সকাল ৮ টায় রিকশা নিয়ে বের হই। কিন্তু ৭ টায় ঘুম থেকে উঠার পর থেকে হালকা বৃষ্টি দেখে পুনরায় লেপ মুড়ে শুয়ে পড়ি। বেলা ১০ টায় বৃষ্টি ও কুয়াশা নামতে শুরু করলে আমি বের হলাম বাসা থেকে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, রাত্রিবেলা তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস হলেও সকাল ৮ টায় তা নেমে দাঁড়ায় ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। এর মাঝামাঝি সময়ে তাপমাত্রা ১৬-১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ওঠানামা করে।