কুষ্টিয়ায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু

Slider খুলনা

fa8bd3ee8789f1b32806453462733800-2

 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি; কুষ্টিয়ায় গ্রেপ্তারের পর কাশেম খলিফা (৬০) নামে এক কৃষক পুলিশ হেফাজতে মারা গেছে। নিহতের পরিবারের দাবি রাইফেলের বাট দিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে পুলিশ। এদিকে পুলিশ বলছে, শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় জমিজমা সংক্রান্ত একটি মামলায় নিজ বাড়ি থেকে কাশেম খলিফাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার করে গাড়িতে নিয়ে আসার পথে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বাড়ি সদর উপজেলার কবুরহাট মাদরাসা পাড়ায়।
নিহতের মেয়ে রিনা খাতুন জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ কাশেম খলিফার বাড়িতে যায়। জমিজমার মামলা আছে বলে তাকে আটক করার চেষ্টা করে। এ সময় কাশেম খলিফা জমি নিয়ে হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলার কাগজপত্র পুলিশকে দেখানোর চেষ্টা করে। পুলিশ রায়ের কপি না দেখে কাশেমকে রাইফেলের বাট দিয়ে পেটাতে থাকে। এ সময় কাশেমের পরিবারের নারী সদস্যরা পুলিশকে বাধা দিতে চাইলে তাদের ব্লাউজ ছিঁড়ে ফেলে শ্লীলতাহানি করে। পরে জোর-জবরদস্তি করে কাশেমকে গাড়িতে তোলে ও গাড়ির মধ্যেও তাকে নির্যাতন করতে থাকে।
নিহতের বড় ছেলে হাবিবুর জানান, বিকালে মারা যাওয়ার সংবাদ পেয়ে আমরা হাসপাতালে দেখতে আসি। তিনি দাবি করেন, প্রতিবেশী আনজেলের সঙ্গে জমি নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। প্রতিবেশী আনজেল পুলিশকে টাকা দিয়ে নির্যাতন করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
নিহতের পুত্রবধূ রিপা খাতুন বলেন, পুলিশ টাকার লোভে একজন নিরপরাধ মানুষকে গ্রামের মানুষের সামনে পিটিয়েছে। পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বপালনকারী চিকিৎসক ফারুক আহমেদ জানান, অসুস্থ অবস্থায় কাশেমকে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। সে সময় তার শ্বাসকষ্ট ছিলো। তার রোগ নির্ণয়ে জন্য কিছু পরীক্ষা করার নির্দেশনা দিয়ে হাসপাতালের ইনডোরে ভর্তি করা হয়। ৬টা ২০ মিনিটে সে মারা যায়। ঐ চিকিৎসক জানান, কাশেম খলিফা কি কারণে মারা গেছেন সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাবুদ্দিন চৌধুরী জানান, জমিজমা সংক্রান্ত একটি মামলায় তাকে আটক করা হয়েছিল। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। নির্যাতনের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *