স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি নেত্রীর পরস্পর বিরোধী অবস্থানের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ প্রসঙ্গ পরিস্কার না হওয়ায় রাজনৈতিক সমঝোতার পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে বলা যেতে পারে। ফলে উদ্বেগ ও উকণ্ঠায় পড়ে গেছে দেশের জনগন। দেশও জনগনকে লাশ বানিয়ে দুই নেত্রীর ভবিষৎ প্রজন্মকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দিতেই যদি রাজনীতি হয় তবে মানুষ রাজতন্ত্র চায়। গণতন্ত্র চায় না। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারন্টি চায়। খুন হতে চায় না।
একজন বললেন, খুনীদের সঙ্গে আলোচনা নয়। আরেকজন বললেন, বাকশাল কায়েম প্রতিরোধে রক্ত দিতে প্রস্তুত। সর্বশেষ এই দুই ধরণের বক্তব্যে জাতি হতাশ। প্রশ্নবিদ্ধ ভোটের সাংবিধানিক সরকার গনতান্ত্রিক সরকার দাবি করায় গনতন্ত্র প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আর সরকার হঠাতে আগুনে পুঁেড় বোমা মারার রক্তাক্ত আন্দোলন গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।
পরিস্থিতি মুল্যায়নে বলতে হয়, দুই নেত্রী জনগনের প্রতিনিধি এ কথা দাবি করা মনে হয় ঠিক না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেই ভোট দেন নাই। অথচ এমপি ও প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিএনপি নেত্রী ভোটে অংশ গ্রহনই করেন নাই। আর এরশাদ সাহেব মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেও এমপি হয়ে এখন মন্ত্রীত্ব করছেন এবং তিনিও ভোট দিতে পারেননি। রাষ্ট্রের অভিভাবক মহামান্য রাষ্ট্রপতিও ভোট দিতে যাননি।
এই অবস্থায় তিন নেতা জনগনের মঙ্গল ও কল্যান চান এই কথা শুনতে জনগনের কতটুকু ভাল লাগে তা জনগনই ভাল জানেন।
আন্দোলন সংগ্রামে যারা মারা যান তাদের হত্যাকারী চিহিৃত করা কঠিন হয়ে যায়। কারণ দুই পক্ষই পরস্পরকে দোষারোপ করেন। সরকারের গুলিতে না বিরোধীদের আক্রমনে বাংলাদেশের মালিক জনগন মারা যায় তার রহস্য উদঘাটন হয় না। এই অবস্থায় কে কাকে কখন কোন ধরণের হুমিক দেয় তার সঙ্গে কাজের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না।
জামায়াতকে তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করেছে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি, আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি সবাই স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা দিয়েছে। খুনীদের পুরস্কৃত করেছে, এমপি, মন্ত্রী বানিয়েছে। আবার তারাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আবরণে ক্ষমতায় থাকতে বা আসতে চাইছে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলো কি চায় রাষ্ট্র ও জনগেনর কল্যান না ব্যাক্তি কল্যান তা এখন স্পষ্ট।
এমতাবস্থায়, সাধারণ মানুষ মনে করছেন, আমাদের গনতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন নাই। বেঁচে থাকার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যদি মরে যেতে হয় তবে সেই অধিকার দরকার নেই। আমরা এখন গনতন্ত্র চাই না। রাজতন্ত্র চাই। ভোট দিতে চাই না। স্বাভাবিক ভাবে মরতে চাই। অস্বাভাবিক মৃত্যু চাই না।