সাবেক এমপি মমতাজ উদ্দিনের সহধর্মিনী ও সাবেক নারী এমপি শেফালী মমতাজ জানান, মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানমালার আমন্ত্রণ পত্রে ১১/১২/২০১৬ ইং স্বাক্ষর করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। সেই আমন্ত্রণপত্র সাধারণ খামে আমার স্বামী সাবেক এমপি মমতাজ উদ্দিনের নামে আমাদের বাড়িতে পাঠানো হয়। চিঠির খামের উপর লেখা আছে জনাব মরহুম মমতাজ উদ্দিন (প্রাঃ এমপি), গোসাইপুর। তিনি জানান, আমি চিঠি পেয়ে উপজেলা নির্বাাহী অফিসার নজরুল ইসলামকে অবগতি করি। নির্বাহী অফিসার অমাকে বলেন বিষয়টি এমন হলো কেন আমি আপনাকে পরে জানাচ্ছি। পরে তিনি আর জানাননি। এছাড়া কেরামতের কাছে এই চিঠিটি কে দিয়েছে সে ব্যাপারে খোঁজ নিলে আমজাদ নামের এক ব্যক্তি কেরামতকে এ চিঠি দিয়েছে বলে জানান শেফালী মমতাজ। তার ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত খোজ মেলেনি। শেফালী মমতাজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তার স্বামী ২০০৩ সালের ৬ জুন সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন। এর মাধ্যমে তার মরহুম স্বামীর সঙ্গে তামাশা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সদয় দৃষ্টি কামনা করেন সাবেক এই নারী এমপি।
এদিকে চিঠির বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে অবহিত করলে তিনি জানান, এমন ধরনের কোন চিঠি সরাসরি তার অফিস থেকে ইস্যু করা হয়নি এবং রেজিষ্ট্রার বা রেজুলেশনে মরহুম মমতাজ উদ্দিনের কোন নামও নেই। তবে পরে খোঁজ খবর নিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই তিনি জানান, আমাদের অফিস থেকে মুক্তিযোদ্ধা অফিসকে ৩০০ চিঠি ও সাদা খাম প্রদান করা হয়। তারা হাতে লিখে এই চিঠিগুলো সরবরাহ করেন। এটা তাদের মাধ্যমে হতে পারে। এটা কমান্ডারের ভুল এখানে তার কোন রোল নাই। তবুও বিষয়টি স্পর্শকাতর ও দুঃখজনক তিনি খোঁজ নিয়ে এর সমাধান করবেন। ফোনে তিনি মমতাজের সহধর্মিনীর সাথে কথা বলবেন। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মহল মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।