ডেস্ক রিপোর্ট; পাবনার ঈশ্বরদীতে এবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি ৪ সেলসিয়াস ছিল সেখানে। এর আগে গতকাল রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ কারণে আজ ঈশ্বরদীতে তীব্র শীত অনুভূত হয়। হাড়কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে কর্মজীবী মানুষ ছোটেন কর্মস্থলে। দুর্ঘটনা এড়াতে সড়ক-মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরমান আলী বলেন, আজ মঙ্গলবার ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এ মৌসুমে এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। চলতি মাসের শেষের দিকে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।
ঈশ্বরদীর পরে আজ তীব্র শীত অনুভূত হয় দিনাজপুরে। আজ আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দিনাজপুরে আজ ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যশোরে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহী ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে আরো হ্রাস পেতে পারে। মঙ্গলবার দিবাগত শেষ রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত দেশের নদ-নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা ও দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া সাধারণত শুষ্ক থাকবে।তবে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ এ কথা জানায়।
এদিকে তীব্র শীতের কারণে ঈশ্বরদী শহরের রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল, ঈশ্বরদী বাজারসহ ফুটপাতে মানুষের উপস্থিতি একেবারেই কম।
কোথাও কোথাও আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে হতদরিদ্র মানুষ। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এখন পর্যন্ত অসহায় গরিব মানুষের পাশে এসে কেউ দাঁড়ায়নি।
ঈশ্বরদী শহরের রিকশাচালক দুখু মিয়া (৫০) বলেন, ঠান্ডা ও কুয়াশার কারণে তেমন ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এবার শীত আগে পড়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আবদুল বাতেন বলেন, এখন শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি। আক্রান্ত অনেকেই ডায়রিয়াসহ শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে আসছেন।