কুমারীত্ব বিক্রির সিদ্ধান্ত!

Slider বিচিত্র

113c9d0ec8bda769700c98871f9f4470-alexandra-khefren

ঢাকা; ঋণগ্রস্ত বাবা-মাকে কিছুটা সাহায্য করতে বা নিজের পড়াশোনার খরচ জোগাতে আপনি কী করবেন? এর সহজ উত্তরে হয়তো বলবেন, প্রাইভেট পড়িয়ে অর্থ উপার্জন করবেন, কিংবা খণ্ডকালীন কোনো চাকরি করবেন। তাতে হয়তো সেটা সম্ভবও হবে। কিন্তু এসব চিন্তার ধারকাছ দিয়েও যাননি রোমানিয়ার ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী। বাবা-মায়ের বন্ধকি বাড়ি বাঁচাতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার খরচ জোগাতে নিজের কুমারীত্ব বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার দ্য সান অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টের আলজান্দ্রা খেফরেন নামের ওই তরুণী ৮ কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার ২৬৭ টাকায় (৮ লাখ ৫০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড) নিজের কুমারীত্ব বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার লন্ডনে এক টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সদ্য মডেলিংয়ে আসা এই তরুণী তাঁর এ রকম সিদ্ধান্তের কথা জানান। তবে এ ব্যাপারে তাঁর বাবা পুলিশ কর্মকর্তা টনি ও মা এলেনার সাফ জবাব, মেয়ে যদি তাঁর এই হীন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে, তাহলে তাঁকে ত্যাজ্য মেয়ে হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলজান্দ্রা খেফরেন বলেন, তাঁরা বাবা-মা অনেক কষ্ট করে উপার্জন করেন। ঋণের কারণে রোমানিয়ায় তাঁদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদও করা হতে পারে। এ ছাড়া তাঁর নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগানোর জন্য অর্থ উপার্জন করতে হবে। এ কারণেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের কথা শুনে অনুষ্ঠানের দুই উপস্থাপক কিছুক্ষণ বাক্‌রুদ্ধ হয়ে ছিলেন।
তবে অর্থনৈতিক কোনো সমস্যায় নেই বলে জানিয়েছেন আলেজান্দ্রার বাবা-মা। তাঁরা মেয়ের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। যদি মেয়ে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক চিরদিনের জন্য ছিন্ন করবেন তাঁরা।

আলেজান্দ্রা বলেছেন, তিনি নিজের কুমারীত্ব বিক্রির প্রক্রিয়াটা একটি এজেন্সির মাধ্যমে করতে চান।

উপস্থাপকের এক প্রশ্নের জবাবে আলেজান্দ্রা বলেন, অনেক মেয়েই প্রেমে পড়ে তাঁদের কুমারীত্ব হারিয়ে ফেলেন। পরে ওই প্রেমিকের সঙ্গে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। তাই এটা এমন কোনো বিষয় নয়। তিনি বলেন, ‘আমি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চাই। আমার বাবা-মাকেও সাহায্য করা প্রয়োজন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *