‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশের ভুখন্ড ব্যবহার করতে দেয়া হবে না’

Slider জাতীয়

42877_om

ঢাকা; সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন দেশের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের ভুখন্ড ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। কোন প্রকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বরদাশত করব না এবং কোন দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনায় আমাদের দেশের ভূখ-কে ব্যবহার করতে দেব না। প্রধানমন্ত্রী আজ বিকেলে গণভবনে সফররত ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর গোপালকৃষ্ণ প্রভু পারিকার তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে একথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র  বাহিনীর গৌরবজ্জ্বল অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর আসন্ন ভারত সফরকালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ভারতের সশস্ত্র  বাহিনীর বীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোরও আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর উত্তরে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ছিল এবং আমরা সেই সহযোগিতাটাই করেছি। সম্প্রতি বাংলাদেশী জেলেদের উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করায় প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় কোস্টগার্ডকেও ধন্যবাদ জানান। এ সময় ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন। পারিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নে প্রভূত উন্নতি করেছে, যা ভারত এখনও করতে পারেনি। বৈঠকের শেষ অংশে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেয়া ভারতীয় হেলিকপ্টারের একটি রেপ্লিকা এবং যুদ্ধকালীন ছত্রীসেনাদের অপারেশন পরিচালনার আলোকচিত্র প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *