ওই ছাত্রীর আত্মীয়স্বজন সূত্রে জানা যায়, তাহেরপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা মেয়েটিকে দীর্ঘদিন ধরেই উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। একপর্যায়ে তিনি মেয়েটির পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাবও দেন। কিন্তু মেয়েটির পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে। এতে সোহেল রানা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। গতকাল রাত আটটার দিকে তিনি আট-নয়জন সহযোগী নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে টেনেহিঁচড়ে তাকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পরিবারের লোকজন বাধা দিলে সোহেল রানার সহযোগীরা কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করেন। পরে তাঁরা দুটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যান।
এ ঘটনা মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে বাগমারা থানায় জানানো হলে রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ তাহেরপুর পৌরসভার মেয়রের বাড়ি থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, বিয়ের উদ্দেশ্যেই ওই মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে মেয়ের পরিবার ওই যুবলীগ নেতাকে পৌরসভার মেয়রের লোক বলে জানালে মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মেয়েটির বিয়ের বয়স হয়নি জেনে মেয়র মেয়েটিকে নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। রাত সাড়ে আটটায় সেখান থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। পৌরসভা মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া অপহরণের সঙ্গে জড়িত যুবলীগের নেতাসহ বাকিদেরও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁদের সঙ্গেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।