আজ বুধবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন সাখাওয়াত হোসেন খান।
এ সময় সাখাওয়াত হোসেন খানের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির সাবেক দুই সাংসদ আবুল কালাম ও মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। তবে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার ও বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালকে দেখা যায়নি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আবার সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এই নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করি। সিটি করপোরেশনের ভোটাররা নির্বাচনের গণতন্ত্রের যে অধিকার, সেই অধিকার থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত। এ নির্বাচন কমিশনার ও সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। কিন্তু যেহেতু এটাই এ কমিশনের সর্বশেষ নির্বাচন, সেই হিসেবে আমরা অত্যন্ত আশা নিয়ে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।’
সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘এ নির্বাচনকে আমরা একটি প্রতিযোগিতা হিসেবে নিয়েছি। এখানে যাতে আমরা সব প্রার্থী সমান অধিকার পাই। নির্বাচনের সময় আমাদের নেতা-কর্মীদের যাতে কোনো প্রকার হয়রানি করা না হয়, সেদিকে ইসি ও সরকার নজর রাখবে—এটাই আমরা আশা করি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের মেয়র পদে মনোনয়ন পাওয়া সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্থানীয় সাংসদ শামীম ওসমানসহ নেতা-কর্মীদের বৈঠক প্রসঙ্গে সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘যদিও তিনি (শেখ হাসিনা) গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নন। তারপরও তিনি দেশের অর্থাৎ সবার প্রধানমন্ত্রী। গণভবন একটি সরকারি বাসভবন। সেই বাসভবনে একজন প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট দলীয় প্রার্থী নিয়ে কোনো সভা করতে পারেন না। এটা নির্বাচনে প্রভাব পড়ে। এটা নির্বাচনী আচরণবিধির পর্যায়ে পড়ে না। তাঁদের এ ধরনের আচরণে আমি দুঃখ পেয়েছি।’