ঢাকা; এখন দিন গণনার পালা। আজকের দিন নিয়ে আর মাত্র তিন দিন সময়। এরপরের দিন ৮ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচনে আগাগোড়াই ফ্রন্টরানার ডেমোক্রেট হিলারি ক্লিনটন। কিন্তু ২৮শে অক্টোবর গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই প্রধান জেমস কমি বিরাট এক বোমা ফাটিয়ে দিয়েছেন। নির্বাচনের একেবারে দোরগোড়ায় এসে একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে তিনি হিলারির বিরুদ্ধে নতুন ইমেইল ও তা তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানেন না ওই ইমেইলে কি আছে। সেটা না জেনেই কেন এ সময়ে এ ঘোষণা দেয়া! এর পিছনে কি রাজনৈতিক কোনো দুরভিসন্ধি আছে! এমন আলোচনা সর্বত্র। কিন্তু তিনি এর মাধ্যমে হিলারি ক্লিনটনের ক্ষতি যা করার তা করে দিয়েছেন। নিজে একজন নিবন্ধিত রিপাবলিকান হয়ে দ্বিমুখী অবস্থান নিয়েছেন বলেও অভিযোগ আছে। তার ওই ঘোষণার পর হিলারি যদিও জনমত জরিপে এগিয়ে আছেন, কিন্তু সেই এগিয়ে থাকার ব্যবধান কমেছে অনেকটা। ফলে ডনাল্ড ট্রাম্প তাকে ছুঁই ছুঁই করছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, যে যত যা-ই বলুক তাতে কিছু হবে না। শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন হিলারি ক্লিনটনই। এ াবস্থায় সর্বশেষ যে জনমত জরিপ প্রকাশ পেয়েছে তাতে দেখা যায় হিলারি ক্লিনটন শতকরা ৪৫ ভাগ জনসমর্থন পেয়েছেন। ট্রাম্প পেয়েছেন শতকরা ৪২ ভাগ। অর্থাৎ মাত্র শতকরা ৩ ভাগ সমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছেন হিলারি। নিউ ইয়র্ক টাইমস/সিবিএস নিউজের জরিপে এভাবেই এগিয়ে আছেন হিলারি। এ জরিপে লিবারটারিয়ান দলের প্রার্থী গ্যারি জনসনকে সমর্থন করেছেন শতকরা ৫ ভাগ মানুষ। গ্রিন পার্টির জিল স্টেইনকে সমর্থন করেছেন শতকরা ৪ ভাগ ভোটার। এরই মধ্যে দুই কোটি ২০ লাখেরও বেশি ভোটার তাদের ভোট দিয়ে দিয়েছেন। এর আগে এবিসি নিউজ/ওয়াশিংটন পোস্ট একটি জরিপ প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায় হিলারি শতকরা দুই ভাগ সমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছেন। তাকে সমর্থন করেছেন শতকরা ৪৭ ভাগ ভোটার। ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন শতকরা ৪৫ ভাগ।