ঢাকা; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগকে দায়ী করে ওই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে বিএনপি। সরকার জনগণকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে সরকারের পদত্যাগও চেয়েছে দলটি।
আজ শনিবার সকালে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমদ। গতকাল শুক্রবার হাফিজের নেতৃত্বে নাসিরনগরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিল বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। সেখান থেকে ফিরে আজ সংবাদ সম্মেলন করে দলটি।
নাসিরনগরে হামলায় আওয়ামী লীগ জড়িত অভিযোগ করে হাফিজ বলেন, ‘বর্তমান সরকার নির্বাচিত না হলেও তাদের ধন্যবাদ দিতে চাই যে নাসিরনগরের ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছেন, তাদের দলীয় নেতাদের শাস্তি দিয়ে তাঁদের স্বরূপ জনসমক্ষে উন্মোচন করেছেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, নাসিরনগর সদরের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের আরও দুজন নেতাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে কারা এই ধরনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার মূল হোতা। গত সাত বছরে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তাতে আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাত রয়েছে।
নাসিরনগরের প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনের জন্য হাইকোর্টের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান হাফিজ। হাফিজ বলেন, নাসিরনগরে প্রথম হামলার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত বলা যেতে পারে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ছয়টি বাড়িতে নতুন করে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় এর পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা অভিযোগ করেছেন, হামলা হয়েছে একটার দিকে আর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে বিকেল পাঁচটার দিকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর হলে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যেত। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি দেশের সব জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনদের রক্ষায় মুসলমানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল আউয়াল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।