ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে বৃহস্পতিবার ভোরে জেসমিন বেগম(৪০) এবং বেলা পৌনে ১২টার দিকে আবুল কালামআজাদ (৪৩) মারা যান বলে ইউনিটের চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “জেসমিনের শরীরের ৩৯ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তিনি ভোররাতে মারা গেছেন। আবুল কালাম মারা গেছেন বেলা পৌনে ১২টার দিকে। তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।”
গত ২২ অক্টোবর সকালে জুরাইনের বৌবাজার মদিনা মসজিদের পাশে মোজাফফরের বাড়িতে গ্যাসের চুলা জ্বালানোর সময় বিস্ফোরণে আহত হন কালাম, জেসমিন, তাদের ছেলে রনি(১০), কালামের ভাতিজি শারমিন আক্তার(২০) এবং প্রতিবেশী সোহানা (৪)।
পার্থ শংকর দাস জানান, এদের রনি মধ্যে গত ২৮ অক্টোবর মারা যায়, তার শরীরের ৩৯ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
চিকিৎসাধীন শারমিনের শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানান পার্থ।
ওইদিন চিকিৎসকের বরাতে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানিয়েছিলেন, ওই বাসার শোবার ঘরে দেয়াল ফাটা থাকায় সেখানে গ্যাসের পাইপ থেকে গ্যাস বের হত। বাড়িওয়ালা তা মেরামতও করে দিয়েছিলেন বলে কালাম জানিয়েছেন।
ঘটনার দিন সকালে কালাম বাসায় সিগারেট জ্বালানোর চেষ্টা করলে বিকট শব্দের পর ঘরে আগুন ধরে যায়। পরে প্রতিবেশীরা দগ্ধদের হাসপাতালে নেয়।