ঢাকা: ‘দ্বৈত শাসন’ বিচার বিভাগে ধীরগতির অন্যতম প্রধান কারণ- প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার এমন মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সঙ্গে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে প্রধান বিচারপতির বক্তব্যকে স্ববিরোধী বলেও মনে করেন তিনি। গতকাল সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমি মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি। ওনার বক্তব্য আমি শুনেছি, পড়েছি এবং দেখেছি। অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে ওনার (প্রধান বিচারপতি) বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি। তিনি বলেন, আজকে যখন নতুন করে সবকিছু হয়ে গেছে, তখন এরকম প্রস্তাব আসাটা আমার কাছে আশ্চর্যজনক লাগছে।
আনিসুল হক বলেন, একদিকে বলা হচ্ছে এটা (৯৬ অনুচ্ছেদ) হিস্টরিক্যাল মিসটেক। আবার বলা হচ্ছে ১১৬ অনুচ্ছেদে বাহাত্তরে যা আছে তাতে ফিরে যেতে হবে। এটাতো স্ববিরোধী কথা। এ সময় সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বর্তমান অবস্থায় রাখার পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিচার বিভাগের বিচারকসহ অন্যদের বদলি, পদোন্নতি, অপসারণ-এগুলোর গুরুদায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর। রাষ্ট্রের এক নম্বর ব্যক্তিকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় এখানে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করে। বিচার বিভাগে বিভিন্ন শূন্য পদের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও গতিশীলতা আনতে বদ্ধপরিকর। সরকার এটা করতেই থাকবে। বন্ধ হবে না। প্রসঙ্গত, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক্করণের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার এক বাণীতে প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের ওপর হাইকোর্ট বিভাগের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা রয়েছে। অপরদিকে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বিচার বিভাগের ধীরগতির অন্যতম কারণ। এর ফলে অধস্তন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি, বদলি ও কার্যক্রম সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে এককভাবে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। দ্বৈত শাসনের ফলে বহু জেলায় শূন্যপদে সময়মতো বিচারক নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিচারকার্য বিঘ্ন ঘটে এবং বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি বাড়ে। এই প্রেক্ষাপটে ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদটি পুনঃপ্রবর্তন করা ‘সময়ের দাবি’ বলে উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি।
আনিসুল হক বলেন, একদিকে বলা হচ্ছে এটা (৯৬ অনুচ্ছেদ) হিস্টরিক্যাল মিসটেক। আবার বলা হচ্ছে ১১৬ অনুচ্ছেদে বাহাত্তরে যা আছে তাতে ফিরে যেতে হবে। এটাতো স্ববিরোধী কথা। এ সময় সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বর্তমান অবস্থায় রাখার পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিচার বিভাগের বিচারকসহ অন্যদের বদলি, পদোন্নতি, অপসারণ-এগুলোর গুরুদায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর। রাষ্ট্রের এক নম্বর ব্যক্তিকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় এখানে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করে। বিচার বিভাগে বিভিন্ন শূন্য পদের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও গতিশীলতা আনতে বদ্ধপরিকর। সরকার এটা করতেই থাকবে। বন্ধ হবে না। প্রসঙ্গত, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক্করণের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার এক বাণীতে প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের ওপর হাইকোর্ট বিভাগের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা রয়েছে। অপরদিকে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বিচার বিভাগের ধীরগতির অন্যতম কারণ। এর ফলে অধস্তন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি, বদলি ও কার্যক্রম সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে এককভাবে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। দ্বৈত শাসনের ফলে বহু জেলায় শূন্যপদে সময়মতো বিচারক নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিচারকার্য বিঘ্ন ঘটে এবং বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি বাড়ে। এই প্রেক্ষাপটে ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদটি পুনঃপ্রবর্তন করা ‘সময়ের দাবি’ বলে উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি।