গাইবান্ধা সংবাদ

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

13
সাঘাটায় রাম প্রসাদের শুকনা খাবার বিতরণ
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়ায় গতকাল রাম প্রসাদ জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী শ্রী রাম প্রসাদ স্বর্ণকার প্রতিবছরের ন্যায় এবারো রুটিসহ শুকনা খাবার প্রায় ৩ হাজার লোকের মাঝে বিতরণ করেছেন।
বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, শ্রী রাম প্রসাদ স্বর্নকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মমিতুল হক নয়ন প্রমুখ। উল্লেখ্য তিনি দূর্গাপুজার পরে প্রতিবছর এই দিনে গরিব দু:খী মানুষের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করেন।

সুন্দরগঞ্জে ৭ বাড়িতে সিঁধ কেটে চুরি
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের তালুক বাজিত ধনিয়ার কুড়া গ্রামের ৭ বাড়িতে দরজা ও সিঁধ কেটে চুরি সংঘটিত হয়েছে। এতে প্রায় ২ লাখ টাকার সম্পদ খোয়া গেছে।
স্থানিয়দের নিকট থেকে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২ টার সময় তালুক বাজিত গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হকের শয়ন ঘরের দরজা কেটে অজ্ঞাতনামা চোর ঘরে প্রবেশ করে ২টি মোবাইল সেটসহ ৫ হতে ৬ হাজার টাকার কাপড় নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় শব্দ হয়।
এতে তোজাম্মেল হক ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখে তার ঘরের দরজা খোলা। এরপর বাহিরে বের হয়ে চিৎকার করতে থাকে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই রাতেই একই গ্রামের এরশাদুল হক, আজিজার রহমান, আলীফ হোসেন, সোলায়মান হোসেন ও রেজাউল মিয়ার বাড়ি চুরি হয়। আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ২ লক্ষাধিক টাকা।
অনেকের ধারণা আমবষ্যার ভোগ লাগার কারণে এই চুরি সংঘঠিত হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে জানান, ইতিমধ্যে গ্রাম্য পুলিশদের সতর্কতার সহিত দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ফুলছড়িতে ইত্যাতির উপস্থাপক হানিফ সংকেত
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধা ফুলছড়িতে দর্শক নন্দিত ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি-এর উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেত আসায় উতসক জনতার ভীর।
দর্শক নন্দিত ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি-এর উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেত গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার সমিতির বাজারে আসেন একই পরিবারের ২২ জন সদস্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক- এর উপর তথ্যচিত্র ধারন করতে ।

গোবিন্দগঞ্জে অভিনব কায়দায় ইজ্জত হরণ
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে আসামীকে বাদ দিয়ে চার্জসিট দাখিল। মামলা করায় একাধিক মামলার স্বীকার বাদীনী জুয়েলী বেগম।
জানা গেছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের কলাকাটা হামছাপুর গ্রামের জোবেদ আলীর কন্যা জুয়েলী বেগম (৩২) এর সহিত পাশ্বৃবর্তী বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার পোড়ানগরী গ্রামের আঃ ছাত্তারের ছেলে আবু জাফরের ১৯৯৭ সালে বিবাহ হয় এবং ১৬ বছর ঘরসংসার করা কালে একটি পুত্র সন্তান আল জাবির সরকার (১০) হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের কলাকাটা হামছাপুর গ্রামের জোবেদ আলীর কন্যা জুয়েলী বেগম (৩২) কে বিয়ে করা সহ বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী সোনাতলা উপজেলার দক্ষিন আটঘরিয়া গ্রামের খোকা মন্ডলের লম্পট ছেলে আনিছুর রহমান লিটন মন্ডল (৩৫) অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও সুকৌশলে জুয়েলী বেগমকে নিয়ে সিলেটে গিয়ে জনৈক বাচ্চু মিয়ার বাড়ীতে বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে প্রায় ৬/৭ মাস যাবত অবৈধ্য মেলা মেশা করে।এসময় মেলা মেশার অশ্লীল ছবি গোপনে ক্যামেরায় ভিডিও করে।
এদিকে জুয়েলী আনিছুরকে একাধিকবার বিয়ে করার কথা বলায় তাকে প্রাণনাশসহ অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি ধামকি প্রদান করে। বিষয়টি ঐ এলাকায় জানা জানি হলে বেগতিক হয়ে আনিছুর তার নিজ বাড়ীতে সহযোগীদের খবর দেয়। সহযোগীরা উক্ত স্থানে পৌছে জুয়েলীকে সুকৌশলে শালমারায় এনে রাস্তায় রেখে আতœগোপন করে।
নিরুপায় হইয়া জুয়েলী গত ১৫মে/১৬ইং তারিখে গোবিন্দগঞ্জ থানায় আনিছুর সহ ৪জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করে যার নং-২২। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই গফুর মামলা পরিচালনার জন্য বাদীনীর নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা দাবী করে।
কিন্তু টাকা না পাওয়ায় দীর্ঘ ৬ মাস পর বাদীনীর অজানতে মামলা থেকে সহযোগী ৩ আসামীকে বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল করেছেন। বাদীনী বিষয়টি জানতে পেরে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় থানা অফিসার্স ইন্চার্জকে অবগত করে। মামলার বিচার না পেলে আমি এস আই গফুরের বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ করেন জুয়েলী বেগম জানান।

সুন্দরগঞ্জে ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রির তালিকা সংশোধন
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১০ টাক কেজি দরে চাল বিক্রির তালিকায় ৩ হাজার স্বচ্ছল ব্যক্তির নাম কর্তন করেছে তালিকা প্রনয়ণ কমিটি।
জানা গেছে, সরকার হতদরিদ্র মানুষের খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে উপজেলায় ২২ হাজার ২শ ৭৪ জন হতদরিদ্র মানুষের নামের তালিকা বরাদ্দ মেলে। বরাদ্দকৃত নামগুলো উপজেলা প্রশাসন প্রতি ইউনিয়নে বিভাজন করেন। এদিকে ইউনিয়ন তালিকা প্রনয়ণ কমিটি কোন প্রকার সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের খেয়াল খুশি মত দলীয় করণ আত্মীয় করণ ও স্বজন প্রীতির মাধ্যমে তালিকা তৈরি করেন।
এনিয়ে অভিযোগ উঠলে উপজেলা প্রশাসন তা সংশোধনের নিদেশ দেন। নিদেশ দিলে ইউনিয়ন তালিকা প্রনয়ণ কমিটি তরিঘরি করি তালিকা সংশোধন করলে ১৫ ইউনিয়ন ২ হাজার ৯শ ৪১ জন স্বচ্ছল ব্যক্তির নাম বাদ পরে।
ইউনিয়ন গুলো হচ্ছে চন্ডিপুর-২১৭, শ্রীপুর-১৭৪, কঞ্চিবাড়ি-৪৫৯, হরিপুর-৭৮, বামনডাঙ্গা-৪১৫, সোনারায়-১২৪, তারাপুর-৩১৫, বেলকা-৬২, সর্বানন্দ-১৩৬, দহবন্দ-৩৯৪, রামজীবন-১২৬, ধোপাডাঙ্গা-১৩৬, ছাপড়হাটী-৯৭ ও শান্তিরাম ইউনিয়নের ২০৮ বাদ পরে।
এনিয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল জলিল মন্ডলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের নামের তালিকায় কোন ক্রমে স্বচ্ছল ব্যক্তির নাম অন্তভূক্ত হতে দেয়া হবে না। এরপরেও কোন স্বচ্ছল ব্যক্তির নাম থাকলে তা কর্তন করা হবে।

পলাশবাড়ীতে পোকামাড়ক দমন করছে আফ্রিকান ‘ধইঞ্চা গাছ’
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ ধানখেতে ‘লাইভ পার্চিং’ পদ্ধতির ব্যবহারে সফলতা পেয়েছে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি বিভাগ। প্রাথমিক পর্যায়ে পলাশবাড়ী উপজেলা পার্চিং পদ্ধতির আওতায় আসলেও আগামী মৌসুমে গোটা জেলার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে।
খেতের পোকামাকড় দমন করে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার কমিয়েছে পার্চিং-এ ব্যবহৃত আফ্রিকান ‘ধইঞ্চা গাছ’। এছাড়া খেতের ধইঞ্চা গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে পারছেন কৃষকেরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর গাইবান্ধা উপ-পরিচালকের দফতর সূত্র জানায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে জেলায় ১ লাখ হেক্টর জমিতে আবাদ হলেও পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার হয়েছে ১ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে পলাশবাড়ী উপজেলার ৮ হাজার ৪ হেক্টর জমিতে ব্যবহার করা হয়েছে পার্চিং পদ্ধতি।
কৃষি বিভাগ জানায়, বিঘাপ্রতি ৪/৫টি এবং একর প্রতি ১৩/১৪টি গাছ লাগিয়ে রক্ষা করা যায় ধান খেত।
পলাশবাড়ী উপজেলার কেশরগাড়ী ইউনিয়নের চকবালা গ্রামের কৃষক ছাইফুল ইসলাম চার বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন রোপা আমন। তিনি জানান, চার বিঘা জমিতে ১৯টি ধইঞ্চা গাছ লাগানোর ফলে পোকামাকড় দমন হচ্ছে। শুরুতে একবার কীটনাশক স্প্রে করার পর আর করতে হয়নি। দিতে হচ্ছে না ইউরিয়া সারও।
পলাশবাড়ি সদর ইউনিয়নের আমবাড়ী গ্রামের কৃষক সফিকুল ইসলাম বলেন, ধইঞ্চা গাছের ডালে পাখিরা বসে ক্ষেতের ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে ফেলছে। গাছটির পাতা জৈব সার হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় ক্ষেতে আর ইউরিয়া ব্যবহার করিনি।
পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ জানান, আফ্রিকান ধইঞ্চা গাছ যা রোপা আমন ক্ষেতে ব্যবহার করে পার্চিং হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গাছটি জমির উর্বরতা বৃদ্ধিসহ ফসলকে রক্ষা করছে।
আরেক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, পার্চিং ব্যবহারের ফলে কৃষকেরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। ধইঞ্চা গাছের বীজ বিক্রি করে আলাদাভাবে উপকৃত হচ্ছেন তারা।
পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, চলতি রোপা আমন মৌসুমে উপজেলা পার্চিং পদ্ধতির আওতায় এসেছে। পার্চিং পদ্ধতি দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কৃষকদের মধ্যে।
তিনি জানান, বিশেষ করে আফ্রিকান ধইঞ্চা গাছ দারুণভাবে উপকার করছে জমির ক্ষেতে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ধইঞ্চার পুরো গাছে নুডুল রয়েছে। যা বাতাসের মধ্যে গ্রহণ করে নাটট্রোজেন, ফলে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।
জেলার পুরো খেত আগামীতে ধইঞ্চা পার্চিং পদ্ধতির আওতায় আনার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তদারকি এবং পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে কৃষি বিভাগের এক কর্মকর্তা ওলিউর রহমান জানান, কৃষি বিভাগ কৃষকদের এই পদ্ধতি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছে। প্রাকৃতিকভাবে পোকামাকড় দমনে পার্চিং পদ্ধতি সফলতা দেখাবে মনে করেন তিনি।

পলাশবাড়ীতে আমন ধান কাটা শুরু
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান পাকতে শুরু করলেও কোথাও কোথাও ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছে এখানকার কৃষকরা।
তবে যারা প্রথম দিকে ধান চারা রোপন করেছেন তারাই মূলত ধান কেটে ঘরে তুলছেন। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে বলে জানিয়েছে কৃষকরা।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় উফসী ১০ হাজার ৭৫ হেক্টর ও স্থানীয় ২৫০ হেক্টরসহ মোট ১০ হাজার ৩শ’ ২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনকুলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবছর রোগবালাই কম হয়েছে।
কৃষকরা জানান, চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠের পর মাঠ পাকা ধানে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর থেকে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগীতা দেয়া হয়েছে।
শনিবার হোসেনপুর দীঘদারী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে কৃষকরা ধনা কাটতে শুরু করেছে। তারা খুব আনন্দিত কোন এবার ফসল ঘরে তুলতে পেরে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খালগুলো খনন করে সেচ সুবিধা, উন্নত চাষাবাদের জন্য যন্ত্রপাতি প্রদান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সার-বীজ প্রদানের মাধ্যমে পুনবাসন করা, স্বল্প খরচে চাষাবাদের জন্য সব অধুনিক যন্ত্রপাতি প্রদান করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোপনকৃত আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগের নির্ধারণকৃত লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হবে আশা প্রকাশ করেন তিনি বলেন, উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন ১০ হাজার ৩শ’ ২৫ হেক্টর জমিতে আমনের চাষাবাদ হয়েছে ও ফলনও ভাল হয়েছে।
তিনি আরো জানান, পলাশবাড়ীতে কয়েকটি এলাকার কৃষকরা পাকা বোরো ধান কাটা শুরু করেছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে।

পলাশবাড়ী উপজেলায় ফসলের বন্ধুপোকা রক্ষায় ‘আলোর ফাঁদ’
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ ক্ষেতে ফসলের অনিষ্টকারী শত্রু পোকা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বন্ধু পোকাও। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত ও অপরিকল্পিত উপায়ে ক্ষেতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহারের কারণে ওইসব বন্ধু পোকার বিনাশ ঘটছে। আর কৃষকের মিত্র হিসেবে চিহ্নিত সেইসব পোকাদের রক্ষার লক্ষ্য নিয়েই বাংলদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সারাদেশে প্রায় ৪৭ হাজার স্পটে আলোর ফাঁদ প্রযুক্তির ব্যবহার করছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের দাবি, ফসলি জমিতে কীটনাশকের অস্বাভাবিক ব্যবহারের কারণে শত্রু পোকার পাশাপাশি মিত্র পোকাও মারা যাচ্ছে। এতে করে ফসলি ক্ষেতের পরিবেশ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। যা অদূর ভবিষ্যতে কৃষিক্ষেত্রের জন্য একটি বড় রকম বিপর্যয় হয়ে দেখা দিতে পারে। এ কারণেই বর্তমান আমন মৌসুমকে সামনে রেখে সারাদেশে ক্ষেতের পোকা চিহ্নিত করণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কেবলমাত্র প্রচলিত ধারণার উপর নির্ভর করে কীটনাশকের ব্যবহার থেকে কৃষককে দূরে রাখতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর আলোর ফাঁদ প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। একমাস ধরে ব্যবহৃত এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষেতের শত্রু পোকা চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি দমনে কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ।
অন্যদিকে, কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী আলোর ফাঁদ স্থাপন এবং সেখান থেকে পোকা চিহ্নিতকরণের পদ্ধতি জানতে পেরে ও পোকা অনুযায়ী প্রতিকারের ব্যবস্থা পেয়ে খুশি স্থানীয় কৃষকরাও।
এ মৌসুমে কেবলমাত্র গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলাতে অন্তত ৫০ স্পটে আলোর ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে।
সারাদেশে আলোর ফাঁদ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকা চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে দমনের উদ্যোগ নেওয়ায় চলতি আমন মৌসুমে ধানের উৎপাদনে ব্যয় কমে এসেছে। এতে করে এ মৌসুমে কৃষক যেমন অতিরিক্ত ফসল ঘরে তুলতে পারবে। তেমনি ধানক্ষেতের পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে কৃষিবিভাগ মনে করছে।
পলাশবাড়ীতে ধান ক্ষেতে উড়ছে ইঁদুর তাড়ানোর ঝান্ডা
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা জুড়ে সবুজ ধানক্ষেতের সমাহার। তবে কৃষক ও ফসলের জম ইঁদুর।ধানক্ষেত থেকে ইঁদুর নিধনের জন্য বিষটোপসহ কৃষি প্রযুক্তির নানা কৌশল অবলম্বন করেও হিমসিম খাচ্ছেন কৃষকরা।
উপায়ান্তর না পেয়ে ধানের ক্ষেত থেকে ইঁদুর তাড়ানোর জন্য পলিথিনের ঝান্ডা টাঙ্গিয়ে রাখছেন। পলিথিনের এসব পতাকা বাতাসে দোল খেলে নাকি ইঁদুর ভয়ে সে ক্ষেত থেকে পালিয়ে যায়। ভয়ে আর সে ক্ষেতে আসে না।এটি কৃষকের নিজস্ব প্রযুক্তি বলে উপজেলার ধানচাষীরা জানালেন।
এ প্রযুক্তি এখন মাঠে মাঠে ব্যাপকহারে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে নাকি কৃষকরা লাভবানও হচ্ছেন অনেকটায়।
উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়ানের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক মোঃ শামিম বলেন, ইঁদুরের হাত থেকে ফসল বাঁচাতে হিমসিম খাচ্ছি। ইঁদুর তাড়ানোর জন্য কৃষক নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। তার মধ্যে পলিথিনের ঝান্ডা টাঙ্গিয়ে বেশ উপকার পাচ্ছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *