ঢাকা; মাটিতে রক্তের দাগ। একের পর এক নির্মমতা। কোথাও কেউ নেই। মেনে নেয়া এবং মানিয়ে নেয়া। অশ্রুই অসহায়ের সম্বল। আর আছে প্রার্থনা। নির্মল প্রার্থনা ছাড়া আমাদের আর কিইবা করার আছে? তনু, রিসা, খাদিজা। এরপর কে? কোথায় ওৎ পেতে আছে কোন গুপ্তঘাতক।
এই অন্ধকার সময়ের শেষ কোথায়? ওবায়দুল, বদরুলদের কালো অধ্যায় শেষ হবে কবে? কবে আসবে আলো? নাকি কোনো দিনই আর দেখা মিলবে না সেই আলোর।
এই অন্ধকার সময়ের শেষ কোথায়? ওবায়দুল, বদরুলদের কালো অধ্যায় শেষ হবে কবে? কবে আসবে আলো? নাকি কোনো দিনই আর দেখা মিলবে না সেই আলোর।
আলোর মিছিলে আজ অন্ধকারের হানা। খাদিজা বেগম নার্গিস। বাড়ি সিলেট শহরতলির আউশা গ্রামে। সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সোমবার কলেজে যান পরীক্ষা দিতে। আর ওদিকে, ছাত্রলীগ নেতা বদরুল তার চাপাতিতে শান দিতে থাকে। পরীক্ষা শেষে খাদিজা বের হওয়া মাত্রই চাপাতি হাতে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বদরুল। অমানবিক আর বর্বর আক্রমণ। প্রকাশ্যে মেয়েটিকে কোপাতে থাকে অন্ধকারের প্রতিভূ বদরুল। মেয়েটিকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে এসেছিল কি-না তা নিয়ে দুই ধরনের বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে। এক ধরনের খবরে বলা হচ্ছে, উপস্থিত লোকজন খাদিজাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। কিন্তু চাপাতি হাতে বদরুল তাদের দিকেও ধেয়ে আসে। যে কারণে খাদিজাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে আরেকটি বিবরণে জানা যাচ্ছে, সবাই মোবাইলে ওই ঘটনার ভিডিও করতে থাকলেও কেউ বাঁচাতে এগিয়ে যাননি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য উপস্থিত জনতাই বদরুলকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করে। আর খাদিজাকে নিয়ে যায় হাসপাতালে। মেয়েটি এখন লাইপ সাপোর্টে রয়েছে। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খাদিজার ব্যাপারে অবশ্য আশাবাদী নন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, খাদিজার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বড়জোর ৫ শতাংশ। কি নির্মম, কি নিষ্ঠুর কথা। কি হতাশার কথা। তবুও আমরা বেঁচে আছি আশা নিয়ে।
খাদিজা, প্রিয়, বোন আমার, আপনি জেগে উঠুন। বাংলাদেশ এখন আপনার জেগে ওঠার অপেক্ষায়। এটা সত্য, পারিপার্শ্বিক উন্নতির বিপরীতে আমাদের মূল্যবোধের এখন ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। চাপাতির রং আলাদা। রক্তের রংও আলাদা। কিন্তু মৃত্যু সত্য। মানবিকতা মারা গেছে এ কথাটিও প্রায়শই শোনা যায়। অমানবিক এই অন্ধকার সময়েও আমরা সাধারণদের মন মাঝে মাঝে কেঁদে ওঠে। যদিও আমরা অক্ষম। এই বর্বরতা বন্ধ করতে সত্যিই আমরা অক্ষম। আমরা মিথ্যাবাদীও। তবুও কখনও কখনও আমরা সত্য কথা বলি। উচ্চারণ করি হৃদয়ের সত্য। সত্যি বলছি, বাংলাদেশ চায় আপনি জেগে উঠুন। মৃত্যু আপনাকে ক্ষমা করুক। মানুষের হৃদয়ে আজ উচ্চারিত হচ্ছে সেই প্রার্থনা। তারা প্রার্থনা করছেন, পরম করুণাময় যেন আপনাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়ে দেন। আপনি যেন আবার ফিরে যেতে পারেন আপনার মায়ের বুকে। আপনার বাবা যেন বিদেশ থেকে এসে আপনার দেখা পায়। আপনি যেন আবার পরীক্ষার হলে বসতে পারেন। পরম করুণাময় যেন আপনাকে জেগে ওঠার শক্তি দেয়Ñ এটাই এখন আমাদের একমাত্র প্রার্থনা।
খাদিজা, প্রিয়, বোন আমার, আপনি জেগে উঠুন। বাংলাদেশ এখন আপনার জেগে ওঠার অপেক্ষায়। এটা সত্য, পারিপার্শ্বিক উন্নতির বিপরীতে আমাদের মূল্যবোধের এখন ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। চাপাতির রং আলাদা। রক্তের রংও আলাদা। কিন্তু মৃত্যু সত্য। মানবিকতা মারা গেছে এ কথাটিও প্রায়শই শোনা যায়। অমানবিক এই অন্ধকার সময়েও আমরা সাধারণদের মন মাঝে মাঝে কেঁদে ওঠে। যদিও আমরা অক্ষম। এই বর্বরতা বন্ধ করতে সত্যিই আমরা অক্ষম। আমরা মিথ্যাবাদীও। তবুও কখনও কখনও আমরা সত্য কথা বলি। উচ্চারণ করি হৃদয়ের সত্য। সত্যি বলছি, বাংলাদেশ চায় আপনি জেগে উঠুন। মৃত্যু আপনাকে ক্ষমা করুক। মানুষের হৃদয়ে আজ উচ্চারিত হচ্ছে সেই প্রার্থনা। তারা প্রার্থনা করছেন, পরম করুণাময় যেন আপনাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়ে দেন। আপনি যেন আবার ফিরে যেতে পারেন আপনার মায়ের বুকে। আপনার বাবা যেন বিদেশ থেকে এসে আপনার দেখা পায়। আপনি যেন আবার পরীক্ষার হলে বসতে পারেন। পরম করুণাময় যেন আপনাকে জেগে ওঠার শক্তি দেয়Ñ এটাই এখন আমাদের একমাত্র প্রার্থনা।