ঢাকা; সিলেটে ছাত্রলীগ নেতার কোপে আহত খাদিজা আক্তার নার্গিসকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সোমবার বিকেলে সিলেটের এমসি কলেজে পরীক্ষায় অংশ নিতে গেলে কথিত প্রেমিক বদরুলের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন নার্গিস। প্রথমে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অস্ত্রোপচার হলেও তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় আজ ভোরে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। নারগিসের চাচা আব্দুল কুদ্দুস জানান, তার মাথায় ৫-৬টি কোপ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা কোনো আশ্বাস দিতে পারেননি। তারা বলেছেন পরিস্থিতি ভাল না। কোপে মারাত্মক জখম হয়েছে। নার্গিসকে আহত করার মুহূর্তটি এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। শাহপরাণ থানার ওসি শাহজালাল জানান, বিকাল ৫টার দিকে এমসি কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক পরীক্ষা শেষে বের হন খাদিজা। বের হওয়ার পরপরই তাকে ছুরিকাঘাত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল ইসলাম। এ ঘটনার পর পুলিশ কথিত প্রেমিক বদরুল ইসলামকে আটক করেছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি।
এদিকে নার্গিসকে কোপানের দৃশ্য ধারণ করে ফেসবুকে ছাড়া হলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, ধারাল অস্ত্র দিয়ে নার্গিসকে আঘাত করার সময় অনেকে চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। বদরুলের কয়েকজন সহযোগী আশেপাশেই ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা বদরুল ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে সিলেট। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে নগরীর চৌহাট্টায় সড়ক অবরোধ করেছেন সরকারী মহিলা কলেজের ছাত্রীরা।
এদিকে নার্গিসকে কোপানের দৃশ্য ধারণ করে ফেসবুকে ছাড়া হলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, ধারাল অস্ত্র দিয়ে নার্গিসকে আঘাত করার সময় অনেকে চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। বদরুলের কয়েকজন সহযোগী আশেপাশেই ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা বদরুল ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে সিলেট। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে নগরীর চৌহাট্টায় সড়ক অবরোধ করেছেন সরকারী মহিলা কলেজের ছাত্রীরা।