ঢাকা; মধ্যবর্তী নির্বাচন নয়, অবিলম্বে সবার অংশগ্রহণে বিএনপি একটি গ্রহণযোগ্য নতুন নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘মধ্যবর্তী নির্বাচনের যে কথা ওঠেছে তা মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই’ মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, বিএনপি মধ্যবর্তী নির্বাচন চায় না কারণ বিএনপি গত নির্বাচন মানে না। কেননা ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের নামে যে প্রহসন হয়েছে তাতে জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণে বিএনপি একটি নতুন নির্বাচন চায়। সেই নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সেই নির্বাচন পরিচালনা করবে একটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বিকেলে ২০দলীয় জোটের শরিক দল জাগপা আয়োজিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জোট বাঁধ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্যে নিরপেক্ষ কমিশন দরকার। সরকার তাদের মনোনীত সার্চ কমিটি দিয়ে যে কমিশন গঠন করবে তা জনগণের হবে না। সরকারের সার্চ কমিটি নয়, জনগণের সার্চ কমিটি দিয়ে, জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সেই কমিশন গঠন করতে হবে। ওই কমিশনই একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে। তা না হলে যে কমিশনই গঠন করা হোক জনগণ তা গ্রহণ করবে না। মির্জা আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন যে, আওয়ামী লীগ দেশ চালাচ্ছে, সরকার পরিচালনা করছে? আওয়ামী লীগ রাজনীতি করছে? আমার মনে হয় না। তাঁরা অন্তর থেকে বলবেন যে না তাঁরা দেশ চালাচ্ছেন না। অন্য কেউ অন্য কোনোভাবে এ দেশ পরিচালনা করছে। বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিন সরকার দেশে বিরাজনীতিকীকরণের ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল। সে ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়ে যায়নি। তাদের অসমাপ্ত কাজ সম্পূর্ণ করছে আওয়ামী লীগ। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন পাকাপোক্ত করতে দমন-পীড়ন করে বিএনপিকে নির্মূল করে দিতে চায়। মির্জা আলমগীর দাবি করেন, সরকার জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং নিজেদের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে এই জঙ্গিবাদকে ব্যবহার করছে। আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফুর রহমান বক্তব্য রাখেন।