কানাডা; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের সরকারি সফরে কানাডার মন্ট্রিয়লে পৌঁছেছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী পঞ্চম রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেন্স অব দ্য গ্লোবাল ফান্ড (জিএফ)-এ যোগ দিতে উত্তর আমেরিকার দেশটিতে সফর করছেন।
এইচআইভি-এইডস মোকাবিলায় এই সম্মেলন আয়োজন করেছে কানাডা। ১৬ ও ১৭ই সেপ্টেম্বর এই সম্মেলন চলবে। সেখানকার স্থানীয় সময় ৪টা ২২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে এয়ার কানাডার ফ্লাইট এসি-৮৬৫ পিয়েরে এলিয়েট ট্রুডো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান অটোয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান।
এ সময় কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা শেষে শেখ হাসিনাকে একটি মোটর শোভাযাত্রা সহকারে মন্ট্রিয়লের হোটেল ওমনি রয়েলে নেয়া হয়। কানাডা সফরকালে তিনি ওই হোটেলে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী আজ মন্ট্রিয়লের হায়াত রিজেন্সিতে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। পরে তিনি অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে সম্মেলনের মিনিস্ট্রিয়াল প্লিজিং মোমেন্ট ও আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। সেখানে তিনি হায়াত রিজেন্সি মন্ট্রিয়লে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশ নেবেন। পরে বাংলাদেশ ও কানাডার প্রধানমন্ত্রীদ্বয় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। এ সময় শেখ হাসিনা ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ পুরস্কার হস্তান্তর করবেন জাস্টিন ট্রুডোর হাতে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে দ্ব্যর্থহীন সমর্থন ও অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোকে (জাস্টিন ট্রুডোর পিতা) মরণোত্তর এই পুরস্কার দেন। কানাডা সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী রয়েছেন। এর আগে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে ২২ ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর বৃহস্পতিবার মন্ট্রিয়লের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী লন্ডন ত্যাগ করেন। কানাডা সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ৭১তম অধিবেশনে যোগ দিতে ১৮ই সেপ্টেম্বর মন্ট্রিয়ল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।