গ্রাম বাংলা ডেস্ক:বেয়াদব এক দিনের ব্যবধানে ভালো ছেলে হয়ে গেছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদকে ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বেয়াদব’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সেই হাছান মাহমুদকে ভালো ছেলে হিসেবে উপাধি দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে সাজেদা চৌধুরীর পাশেই বসা ছিলেন হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রীর ৬৮তম জন্মদিন উপলক্ষে গত রোববার স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাজেদা চৌধুরী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাছান মাহমুদ কে? তিনি কী ছিলেন? মুক্তিযুদ্ধের সময় কোথায় ছিলেন? উনি কিভাবে নেতা হয়েছেন, তা-ও আমি জানি। এ ধরনের আস্ফালন, আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে দেখিনি। এটা চরম বেয়াদবি। এ রকম বেয়াদবি বরদাস্ত করা হবে না।
এ ধরনের বক্তব্যে দলের ভেতরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য জানান, হাছান মাহমুদ দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন। তিনি সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী। সাজেদা চৌধুরী দলের বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। তার মতো একজন শীর্ষপর্যায়ের নেতা দলের এরকম দায়িত্বশীল পদে থেকে এ ধরনের বক্তব্যে দলের ভেতরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, সিনিয়র নেতাদের অন্যতম হওয়ায় প্রকাশ্যে হাছান মাহমুদের কাছে ক্ষমা চাওয়াটাও একটি ভাবমর্যাদার বিষয়। তাই কৌশল অবলম্বন করে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝির অবসান করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে সাজেদা চৌধুরী বলেন, প্রচার ও প্রকাশনা সেলে ভালো কাজ হচ্ছে। হাছান মাহমুদ ও অসীম কুমার উকিল খুব ভালো কাজ করছে। তারা আমাকে তাদের প্রোগ্রামে ডেকেছে, এই জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। এর আগে দলের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সেলের দায়িত্বে আছেন ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে। বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দি প্রমুখ।
এ দিকে ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে ‘মুখফোড়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন সাজেদা চৌধুরী। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মুখফোড়’ নেতারা অনেক কথা বলতে পারেন। এসব লোকের কথার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাই তাদের কথায় আপনারা কান দেবেন না।