কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ব্যর্থ হয়েছে। যদি তার ব্যর্থতা সরকার স্বীকার না করে তাহলে বলতে হবে সরকারই ব্যর্থ হয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জে সপ্তাহব্যাপী ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শেষে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবীর এ কথা বলেন। রাজধানীর মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতার লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার কূলে কূলে নৌকায় করে ঘুরে বিপর্যস্ত মানুষের দুর্ভোগ দেখে এসেছি। আমাদের আর কি-ই বা করার ছিল। কিছু খাবার, ওষুধপত্র বিতরণের চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, ১৯৭০ সালে আমাদের দেশে দুর্যোগে ১২ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। পাকিস্তান আমাদের সঙ্গে নির্দয় আচরণ করেছিল। তারা কিছু দেয়নি। কিন্তু, এবারের বন্যায় সরকারের ত্রাণমন্ত্রী বিপন্ন মানুষের কাছে এক ছটাক ত্রাণও দিতে পারেন নি। আইনের দৃষ্টিতে একজন অপরাধী, যিনি কোর্ট থেকে সাজাপ্রাপ্ত, তাকে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরখাস্ত করা উচিত। অথবা তার উচিত পদত্যাগ করা। রৌমারীর দাঁতভাঙ্গা, ফিসকা, অষ্টমির চর, বড় চর, কাজীপুরের মোল্লারচরসহ বিভিন্ন এলাকার নাম উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, সেখানে কোনো ত্রাণ পৌঁছায় নাই। ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিত যে সামগ্রী বিতরণ হয় সেগুলোও এলাকার চেয়ারম্যানরা ভাগবাটোয়ারা করে খেয়েছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে তেমন কিছুই পৌঁছায়নি। নিয়মিত বরাদ্দের বাইরে বন্যা পরিস্থিতির কারণে আলাদাভাবে কোনো ত্রাণ সেসব এলাকায় পাঠানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। শোকের মাস সম্পর্কে বঙ্গবীর বলেন, ১৬ই আগস্ট প্রধানমন্ত্রী ভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মৃতিচারণ করলেন। কিন্তু, ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিরোধ যারা করেছিল তাদের কথা কেন যেন বলা হয় নাই। এখন বঙ্গবন্ধুর জন্য কথা বলার অনেক লোক আছে। কিন্তু, সেদিন বঙ্গবন্ধুর জন্য কথা বলার লোক খুব কমই ছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর খুনি মোশতাক এবং জিয়াউর রহমান আমাদেরকে দুষ্কৃতকারী বলেছিলেন। আমি জানতে চাই, আজও প্রধানমন্ত্রীর কাছেও কি আমরা দুষ্কৃতকারী? কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদারের পরিচালনায় ব্রিফিংয়ে দলের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।