আইএসের কথিত বাংলাদেশ সমন্বয়ক তামিম চৌধুরি কল্যানপুরে জঙ্গিদের গোপন আস্তানায় বৈঠক করতো। সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য তাদের আর্থিক সহায়তাও দিতো সে। বাংলাদেশ পুলিশের বরাতে বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের এক খবরে এ কথা বলা হয়। খবরে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশ তামিম চৌধুরীকে ঢাকা ক্যাফে হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে শনাক্ত করেছে। পুলিশের এক কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে পিটিআইকে বলেছেন, কল্যানপুরে চালানো নিরাপত্তা অভিযানে পুলিশ একটি ক্লু পেয়েছে এবং তামিম চৌধুরীকে ক্যাফে হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে শনাক্ত করেছে। ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি তামিম চৌধুরী দুটি হামলার ষড়যন্ত্রকারী। তাকে ধরার জন্য অভিযান শুরু হয়েছে। তিন বছর আগে কানাডা থেকে ফেরার পর সে এখন বাংলাদেশে রয়েছে বলে আমাদের ধারণা। পুলিশের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, কল্যানপুরে জঙ্গিদের গোপন ডেরায় বৈঠক করতো তামিম। সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য তাদের উজ্জীবিত করতো এবং আর্থিক সহায়তা দিতো। পুলিশ রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, জীবিত সন্দেহভাজন রকিবুল হাসান জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, তারা অস্ত্র, অর্থায়ন পেতো নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবির কাছ থেকে। ধারণা করা হয়, তামিম চৌধুরী ওরফে শেখ আবু ইব্রাহিম আল হানিফের বয়স ৩০ এর কোঠার মাঝামাঝি। ২০১৩ সালে সে কানাডা ছাড়ে। বেশ কজন সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষক তাকে আইএসের বাংলাদেশ প্রধান হিসেবে শনাক্ত করেছেন। এছাড়াও, বাংলাদেশের উদ্দেশে কানাডা ছাড়ার পর থেকে সে স্থানীয় ও বিদেশী নানা জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করে আসছে। এদিকে, বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস বিরোধী ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম তামিম চৌধুরীকে জেএমবির নতুন একটি অংশের প্রধান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তদন্তকারীরা বলছেন, জেএমবির দুটি অংশ রয়েছে। একটির নেতৃত্ব দিচ্ছে দলটির কারারুদ্ধ নেতা সাইদুর রহমান। অপরটির তামিম চৌধুরী।